‘মাশরাফির অভাব হঠাৎ করে কেউ পূরণ করতে পারবে না’
মানুষের জীবনে মৃত্যু যেমন অনিবার্য, তেমনি একজন খেলোয়াড়ের জন্যও অবসর অনিবার্য। যত ভালো খেলতে থাকুক না কেন এক সময় তাকে এ মায়া ছাড়তেই হয়। তবে সব খেলোয়াড়ের বিকল্প সব সময় হয় না। বাংলাদেশ ক্রিকেটে মাশরাফি নামটি অনেকটাই জাদুর কাঠির মতো। তার পরশে বদলে গেছেন টাইগাররা। তিনি অবসর নিলে তাই তার অভাব পূরণ করবে কে?
যতই জাদুর কাঠি বলা হোক; বাস্তবতা হচ্ছে মাশরাফির অভিজ্ঞতা। দলের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ খেলোয়াড়ই তিনি। প্রতি সিরিজের পরই জোর গুঞ্জন ওঠে হয়তো এ সিরিজ শেষেই অবসর নেবেন তিনি। তবে এখনই না হোক বাস্তবতা হচ্ছে তাকে একদিন অবসর নিতেই হবে। তখন তার জায়গাটি পূরণ করার জন্য সঠিক খেলোয়াড় এখন থেকেই তৈরি করতে হবে বলে মনে করেন হাই পারফরম্যান্স ম্যানেজার নাজমুল আবেদিন ফাহিম। তার মতে, হঠাৎ করে কেউ দলে এসে তার অভাব পূরণ করতে পারবেন না।
মাশরাফিকে নিয়ে ফাহিম বলেন, ‘এখন আমরা হয়তো খুব ভালো অবস্থায় আছি। কিন্তু সামগ্রিকভাবে চিন্তা করতে হবে দু-তিন বছর পর হয়তো একজন সিনিয়র খেলোয়াড় কমবে। মাশরাফির কথা হয়তো আসতে পারে। এখন ও ভালো খেলছে, আশা করি আরও ভালো খেলতে থাকবে। ওর যে অভিজ্ঞতা হঠাৎ করে একজন এসে কিন্তু সেটা পাবে না। ওইটার অবর্তমানে কীভাবে আমরা ম্যানেজ করব সেটা ঠিক করে রাখতে হবে।’
কেন মাশরাফির অভাব দ্রুত পূরণ সম্ভব নয়? এমন প্রশ্নে ফাহিম বলেন, ‘ভালো খেলোয়াড় হওয়াটাই যথেষ্ট নয়, মাঠে অভিজ্ঞতার মূল্য আছে। কোন কঠিন সময়ে মাঠে যে সিদ্ধান্ত নেই আমরা সেটা কিন্তু নতুন একজন খেলোয়াড় এসে পূরণ করতে পারবে না। আমরা প্রায়ই দেখি মাশরাফি এসে মোস্তাফিজকে কিছু একটা বলে যাচ্ছে কিংবা তাসকিনকে এসে বলে যাচ্ছে। আমরা ওদের কথা থেকে বুঝতে পারি ওরা সিনিয়রদের কাছ থেকে শিখছে।’
ফাহিমের মতে, মাঠে নিয়মিত কিছু না কিছু শিখছেন নবীন ক্রিকেটাররা। শুধু মাশরাফিই নয়, অভিজ্ঞ সকল খেলোয়াড়ের কাছেই সেখার আছে বলে মনে করেন তিনি। তাই এ শেখার প্রক্রিয়াটা যাতে চলে থাকে তাই এখন থেকেই ভাবতে হবে বলে জানান এ কোচ, ‘শেখার প্রক্রিয়াটা চলতে থাকবে, একই ভাবে নতুন খেলোয়াড় একজন একজন করে ঢুকবে। আর পুরনো যারা আছে তাদের কারো ফর্ম চলে যাবে কারো ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে এটাই নিয়ম। আর তাই বিকল্পের জন্য এখন থেকেই পরিকল্পনা করে রাখতে হবে।’
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের শেষ দিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারের বৃত্তে থাকা বাংলাদেশ দলের ভার দ্বিতীয় দফায় হাতে তুলে দেয়া হয় মাশরাফিকে। তার নেতৃত্ব পাওয়ার পর হঠাৎ করেই বদলে যায় বাংলাদেশ। একের পর এক সাফল্য ধরা দেয় টাইগারদের।
আরটি/এনইউ/জেআইএম