ওয়ানডেতেও সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন মিরাজ
টেস্ট অভিষেক হয়েছে গত অক্টোবর-নভেম্বরে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে। চট্টগ্রাম টেস্টে নিজের অভিষেকেই ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি। যদিও দলকে জেতাতে পারনেনি। তবে ঢাকা টেস্টে একক কৃতিত্বেই বলতে গেলে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছেন মিরাজ।
বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই পরিচিত মুখ মেহেদী হাসান মিরাজ। অনুর্ধ্ব-১৯ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দীর্ঘদিন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ গত যুব বিশ্বকাপে খেলেছে সেমিফাইনাল। এরপর সবাই হয়তো ভেবেছিল, মিরাজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হবে ওয়ানডে দিয়ে; কিন্তু অলরাউন্ডার মিরাজ জাতীয় দলের অভিষেক ঘটলো টেস্টে। তাও স্পিন স্পেশালিস্ট হিসেবে।
টেস্ট অভিষেকের পর মিরাজ অপেক্ষায় ছিলেন ওয়ানডে ক্যাপ মাথায় নেয়ার জন্য। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হয়নি। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও ছিলেন সীমিত ওভারে দলের বাইরে। ভারত সিরিজে কোনো ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টিই ছিল না। সুতরাং, শ্রীলঙ্কা সিরিজেই আশা করেছিলেন একদিনের ক্রিকেটে ডাক পাবেন; কিন্তু মিরাজকে টেস্ট সিরিজের পরই পাঠিয়ে দেয়া হলো দেশে।
এবারও আশাহত হচ্ছিলেন মেহেদী মিরাজ; কিন্তু শেষ পর্যন্ত হঠাৎই আবার তাকে ডেকে পাঠানো হলো। শ্রীলঙ্কায় পূনরায় ফিরে গিয়েই অভিষেক হয়ে গেলো বাংলাদেশের উদীয়মান এই ক্রিকেটারের। ম্যাচের পরদিন টিম হোটেল আলিয়া রিসোর্টে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মিরাজ জানালেন অভিষেকের অনুভুতির কথা।
তিনি বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে। কারণ আমার অনেক ইচ্ছে ছিলো ওয়ানডে খেলার। টেস্ট অভিষেকের পরই ওয়ানডের কথা চিন্তা করছিলাম। আল্লাহর রহমতে অভিষেক হয়ে গেলো। বোর্ড প্রেসিডেন্ট যখন আমাকে বললেন, শ্রীলঙ্কা যেতে হবে, ওয়ানডে খেলতে। তখনই চিন্তা করেছিলাম, ওয়ানডে দলে সুযোগ পেলে ভালো কিছু করার চেষ্টা করবো। আল্লাহর রহমতে ওয়ানডে অভিষেকটা ভালো হলো। সবচেয়ে বড় কথা- দল জিতেছে। এটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
টেস্টের সঙ্গে ওয়ানডে অভিষেকের তুলনা করতে বলা হলে মিরাজ বলেন, ‘আসলে দুটাই স্বপ্নের মতো হয়েছে। টেস্টে অভিষেক হয়েছে পাঁচ উইকেট নিয়ে; কিন্তু ম্যাচটা আমরা জিতিনি। তবে ওয়ানডেতে জিতেছি। আমার কাছে মনে হয়, ওয়ানডে অভিষেকটা অনেক ভালো হয়েছে। যে রকম চেয়েছিলাম, টেস্ট ও ওয়ানডে; দুই অভিষেকই তেমন হয়েছে। এখন এটা ধরে রাখতে হবে।’
এআরবি/আইএইচএস/জেআইএম