সালমান বাটকে পাকিস্তান দলে চান না আফ্রিদি
২০১০ সালে ইংল্যান্ডে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন পাকিস্তানের তিন ক্রিকেটার সালমান বাট, মোহাম্মদ আমির এবং মোহাম্মদ আসিফ। ইতিমধ্যেই তাদের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এমনকি মোহাম্মদ আমির জাতীয় দলের জার্সি গায়ে আবারও মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। সালমান বাট এবং মোহাম্মদ আসিফের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেছে। এখন অপেক্ষায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার।
মোহাম্মদ আসিফের চেয়ে এ প্রক্রিয়ায় এগিয়ে সালমান বাট। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করায় সালমান বাটকে পাকিস্তান টেস্ট দলে অন্তর্ভূক্ত করা হবে বলে বেশ গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে; কিন্তু পিএসএল ফিক্সিং কেলেঙ্কারির কারণে তার দলে ফেরাটা কিছুটা শঙ্কার মধ্যে পড়ে যায়। ফিক্সারদের আজীবন নিষিদ্ধ করা কিংবা মৃত্যুদণ্ডের মত শাস্তি দেয়ার বিষয়ে যখন একের পর এক দাবি উঠছে, তখন সালমান বাট আবারজাতীয় দলে ফিরতে পারবেন কি না তা পড়ে গেছে গভীর এক শঙ্কার মধ্যে।
তবে এবার সেই শঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে তুললেন পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে সদ্য বিদায় জানানো শহিদ আফ্রিদি। পাকিস্তান জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক খুব অবাক হয়েছেন, সালমান বাটের জাতীয় দলে ফেরার ব্যাপারে আলোচনা শুনে। তিনি সরাসরি নিজের মন্তব্য এ ব্যাপারে জানিয়ে দিয়েছেন। সরাসরি সালমান বাটের নাম উচ্চারণ না করলেও তিনি বলেছেন, ‘ফিক্সিংয়ের সঙ্গে ন্যুনতম সম্পর্ক ছিল এমন কাউকে অবশ্যই আর জাতীয় দলে নেয়া উচিৎ নয়। দুর্নীতি করে কেউ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলবে, এটা মেনে নেয়া যায় না।’
আফ্রিদি মনে করেন, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আগেও এ ব্যাপারে দারুণ উদাহরণ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। বিশেষ করে ২০১০ সালের স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির সময়। ২০১৭ সালে এসে পিএসএল ফিক্সিংয়ের কারণে যেভাবে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে, এবারও তারা যদি তেমন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারে এবং ফিক্সিংয়ের সঙ্গে ন্যুনতম সংযোগ ছিল এমন কাউকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ না করে, তাহলে এই অপরাধ কমানো সম্ভব নয়।
আইএইচএস/জেআইএম