তিন বিভাগেই আমাদের উন্নতি করতে হবে : থারাঙ্গা
মাহেলা জয়াবর্ধনে, কুমার সাঙ্গাকারা, তিলকারত্নে দিলশানের বিদায়ের পর লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ে আগের ধার নেই। আবার ধার নেই বোলিংয়েও! ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে যার কাছে সাধারণত ব্যাটসম্যানরা ধরাশায়ী হয়, সেই লাসিথ মালিঙ্গাও নেই পুরনো ছন্দে। তার ওপর ইনজুরি তো লেগেই আছে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে দলে নেই মালিঙ্গা। অভিজ্ঞ বোলারদের মধ্যে রয়েছেন সুরাঙ্গা লাকমাল। তরুণ পেসার লাহিরু কুমারা ও স্পিনার লক্ষ্মণ সান্দাকান বোলিংয়ে ভরসার প্রতীক হয়ে উঠেছেন লঙ্কান দলে। তবে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপের সামনে অসহায় ছিলেন তারাও।
তামিম ইকবাল, সাব্বির রহমান রুম্মন, সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ যেভাবে ব্যাটিং করেছেন, তাতে কিছু করারও ছিল না স্বাগতিক বোলারদের। তার চেয়ে বড় কথা, ফিল্ডিংয়েও তাদের দেখা যায়নি চেনারূপে। ২৫ থেকে ৩০ রান অতিরিক্ত দিয়েছেন লঙ্কান ফিল্ডাররা। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এটা বাড়তি চাপ হয়ে যায় যে কোনো দলের জন্য। লঙ্কানদের জন্যও হলো তা-ই।
৩২৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা। এই লক্ষ্য তাড়া করতে জিততে হলে কাউকে না কাউকে লম্বা ইনিংস খেলতে হতো। লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের সেটা করতে দেননি বাংলাদেশি বোলাররা। শুরুতেই বোলিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন মাশরাফি। ব্যক্তিগত প্রথম দুই ওভারে তো কোনো রানই দেননি টাইগার দলনেতা। অপরপ্রান্তে লঙ্কানদের ঠেসে ধরেন অভিষিক্ত মেহেদী হাসান মিরাজ। এছাড়া মোস্তাফিজ-সাকিবদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে স্বাগতিকদের দৌড় থামে ২৩৪ রানে। বাংলাদেশ পায় ৯০ রানের জয়।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে লঙ্কান অধিনায়ক উপুল থারাঙ্গা যেমন জানালেন, ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং; তিন বিভাগেই তাদের উন্নতি করতে হবে। বলেন, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশের ইনিংসে মাঝামাঝি সময় আমরা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ধরে রাখতে পারিনি। বোলাররা ভালো করতে পারেনি। ফিল্ডিংটাও ভালো হয়নি; ২৫-৩০ রান বেশি দিয়ে ফেলেছি। আমাদের তিন বিভাগেই উন্নতি করতে হবে।’
থারাঙ্গার আক্ষেপ, ‘বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আমাদের কাউকে লম্বা ইনিংস খেলার দরকার ছিল। দেখুন, প্রথম ১০ ওভারেই আমরা তিনটি উইকেট হারিয়ে ফেলেছি। তিনশো রান তাড়া করতে যা করা দরকার ছিল, সেটা আজ (শনিবার) আমরা করতে পারিনি।’
এনইউ/এমএস