দেশ থেকে উড়িয়ে নেয়ার যথার্থতা প্রমাণ করলেন মিরাজ
টেস্ট সিরিজ শেষে মুমিনুল-রাব্বিদের সঙ্গে দেশে ফিরে এসেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অভিষেকের পর থেকে শুধু টেস্টই তার কপালের লিখন হয়ে গিয়েছিল যেন। অনেক আগে থেকেই দাবি উঠছিল মিরাজকে ওয়ানডেতে খেলানোর; কিন্তু কেন যেন টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে ওয়ানডেতে খেলানোর ব্যাপারে একদম নীরব। শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজে অসাধারণ পারফরম্যান্সের পরও মিরাজকে ওয়ানডে সিরিজের জন্য বিবেচনায় না রাখা দেখে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন।
কলম্বোর পি সারা ওভালে শততম টেস্ট ম্যাচটি জয়ের পর যেখানে দলের সঙ্গে থাকার কথা ছিল মিরাজের, সেখানে তাকে ফিরে আসতে হলো দেশে। ঢাকায় ফেরার পর মিরাজের প্রস্তুতি নেয়ার কথা কক্সবাজারে অনুষ্ঠিতব্য ইমার্জিং টিম এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলার। হয়তো, এখানেই নিজেকে ওয়ানডের উপর্যুক্ত হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করতে হতো বেশি।
কিন্তু কলম্বো ক্রিকেট ক্লাব মাঠে অনুষ্ঠিত ২২ মার্চের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচটিই সিদ্ধান্ত নতুন করে নিতে বাধ্য করে টিম ম্যানেজমেন্টকে। প্রস্তুতি ম্যাচে অফ স্পিনার হিসেবে শুভাগত হোম সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি। আরেক স্পিনার সানজামুল ইসলামকে শ্রীলঙ্কায় নেয়া হলেও, দেখা গেছে কোচ এবং ম্যানেজমেন্টের কোনোভাবেই নজর কাড়তে পারেননি।
লঙ্কানদের এই দলটিতে অন্তত ৫জন বাম-হাতি ব্যাটসম্যান রয়েছে। তাদের বিপক্ষে ডান হাতি অফ স্পিনারের খুব প্রয়োজন। লঙ্কান কন্ডিশনে ভালো করার মত অফস্পিনার এখন শুধু মেহেদী হাসান মিরাজই। সুতরাং, যে চিন্তা সে কাজ। হঠাৎই দেশ থেকে উড়িয়ে নেয়া হলো মেহেদী মিরাজকে।
তাকে যে উদ্দেশ্যে দলে নেয়া হলো, সেটা আপাতত সাধিত হয়েছে বলা যায়। কারণ, দুর্দান্তু বোলিং করেছেন উদীয়মান এই স্পিনার। অধিনায়ক মাশরাফির সঙ্গে মিলে বোলিংয়ের ওপেন করেন মিরাজ। শুরু থেকেই লঙ্কানদের রান চেপে রাখার দায়িত্বটা দারুণ পালন করেন তিনি। উইকেটও নিয়েছেন ইতিমধ্যে ২টি। কুশল মেন্ডিস এবং দিনেশ চান্দিমালের মত দু’জন আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান মিরাজ।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মেহেদী মিরাজ করেছেন ৮ ওভার। ৪.৩৭ ইকনোমি রেটে রান দিয়েছেন মোট ৩৫টি। হাতে রয়েছে আরও ২ ওভার। এই ২ ওভারেই হয়তো লঙ্কানদের কোমর ভেঙে দিতে পারবেন তিনি।
আইএইচএস/