বিশ্ব মিডিয়ায় বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়
টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে হারাতেই পারছিল না বাংলাদেশ। ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর এভাবে কেটে যায় ১৬ বছর। অবশেষে বহু কাঙ্ক্ষিত সেই জয় ধরা দিল ২০১৭ সালে। তা-ও আবার টাইগারদের শততম টেস্টে। মুশফিক বাহিনী ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখলেন ৪ উইকেটের জয় দিয়ে।
বিশ্ব মিডিয়ায় গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করা হলো বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ের খবর। বিসিবি তাদের শিরোনাম করেছে, ‘শততম টেস্টে টাইগারদের জয়।’ সেখানে তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নতির কথা। ২০১৬ সালের অক্টোবরে টেস্টে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল মুশফিকের দল।
এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ। বিসিবি সব শেষে লিখেছে, ‘শততম টেস্ট জিতেছে এমন দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ চতুর্থ। এর আগে অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেদের শততম টেস্টে জয় পেয়েছিল।’
অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছে, ‘টাইগারদের গর্জনে লঙ্কানদের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়। তামিমের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সিরিজে সমতা আনল বাংলাদেশ।’ নিউজিল্যান্ডের পত্রিকা স্টাফ শিরোনাম করেছে, ‘নিজেদের শততম টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়।’
টাইগারদের প্রশংসায় স্টাফ লিখেছে, ‘গত পাঁচ মাসে মেজর টেস্ট খেলুড়ে দুটি দেশের বিপক্ষে জয় পেল বাংলাদেশ। কলম্বোর পি পাসা ওভারে শততম টেস্টে ৪ উইকেটে লঙ্কানদের হারিয়ে সিরিজে সমতা এনেছে ১-১ ব্যবধানে।’
পাকিস্তানি পত্রিকা দ্য ডন তাদের শিরোনাম করেছে এভাবে, ‘১০০তম টেস্টে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়।’ পাকিস্তানের আরেক পত্রিকা দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন একই শিরোনাম করেছে। টাইগারদের প্রশংসা করেছে তারা।
কলকাতার জনপ্রিয় পত্রিকা আনন্দরাজার শিরোনাম করেছে, ‘তামিমের ব্যাটে শততম টেস্টে বাংলার জয়গান।’ শুরুতেই লিখেছে, ‘সম্ভাবনা উঁকি মারতে শুরু করেছিল শনিবার থেকেই। শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবে পরিণত করে নাটকীয়ভাবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শততম টেস্টে জয় পেল বাংলাদেশ। যার ফলে সিরিজ শেষ হলো ১-১। এর আগে পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড ছিল শততম টেস্টে জেতার। এ বার সেই ক্লাবে ঢুকে পড়ল বাংলাদেশও। শ্রীলঙ্কার মাটিতে টেস্টে এটি প্রথম জয় বাংলাদেশের।’ এনডিটিভি শিরোনাম করেছে, ‘শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় পেল বাংলাদেশ।’
এনইউ/এমএস