সাকিবের আউটের পরও জয়ের পথে বাংলাদেশ
শততম টেস্টের নায়ক হতে পারতেন তামিম ইকবাল। ৮২ রান করার পর কেন যেন তার মাথায় রক্ত চড়ে বসলো। দিলরুয়ান পেরেরার বলে বিগ শট খেলতে গেলেন তামিম ইকবাল। লংঅনে ওঠা ক্যাচটি ঝাঁপিয়ে পড়ে তালুবন্দী করলেন দিনেশ চান্দিমাল।
৮২ রান করার পরও তাই তার ইনিংস একটা আক্ষেপ হয়েই থাকলো। শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করে ২৮তম জন্মদিনটা রাঙিয়ে দিতে পারলেন না বাংলাদেশের এই ড্যাশিং ওপেনার।
তামিম আউট হলেও উইকেটে ছিলেন সাব্বির রহমান। নিজেকে অনেকটাই সেট করে নিয়েছিলেন তিনি। ৭৬ বলে ৪১ রান করার পর তিনিও যে সেই পেরেরার বলে এলবিডব্লিউর শিকার হলেন তিনি। যদিও আউটটা এলো ডিআরএসের মাধ্যমে। আম্পায়ার এস রবি আউট না দিলেও লঙ্কানরা ডিসিশন রিভিউ চায়। সেখানেই দেখা গেলো সাব্বির লেগ বিফোরের শিকার।
এই চার উইকেট চলে যাওয়ার পর উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা করছিলেন টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা জুটি সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহীম। যদিও দু’জন মাত্র ১৯ রানের জুটি গড়তে সক্ষম হন।
সেই দিলরুয়ান পেরেরা বলেই আচমকা উইকেট হারিয়ে বসেন সাকিব। পেরেরার বলটি কাট করতে চেয়েছিলেন সাকিব। বল ব্যাটের কানায় লেগে স্ট্যাম্প ছুঁয়ে যায়। কিন্তু আম্পায়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না, আসলেই বল স্ট্যাম্প ছুঁয়ে গিয়েছিল নাকি উইকেটরক্ষক ডিকভেলার প্যাডে লেগে এসে বল আঘাত হেনেছে স্ট্যাম্পে। পরে থার্ড আম্পায়ার কল করে সাকিবকে আউট ঘোষণা করা হয়। তখন বাংলাদেশের রান ১৬২।
সাকিবের আউট হওয়ার সময়ও ২৯ রান প্রয়োজন বাংলাদেশের। উইকেটে রয়েছেন মুশফিক আর মোসাদ্দেক। দু’জনই প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান; কিন্তু সাকিবের আউটটা শঙ্কার কালো মেঘ তৈরি করেই দিয়ে গেলো।
এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ১৭০। ১৩ রান নিয়ে মুশফিক এবং ৩ রান নিয়ে রয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন।
আইএইচএস/