মাহমুদউল্লাহ-তামিম আবাহনীতে, মাশরাফি-মুশফিক রূপগঞ্জে
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগের দলবদল শুরুর আগেই জানা গিয়েছিল বাংলাদেশের তিন বড় তারকা মাশরাফি বিন মর্তুজা, মুশফিকুর রহীম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবার খেলবেন লিজেন্ড অব রূপগঞ্জে। দুদিন আগেও ছিল এমনই পূর্বাভাস। তবে হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নিয়ে আবাহনীতে যোগ দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। জানা গিয়েছে, রেকর্ড পরিমাণ পারিশ্রমিক ৬০ লাখ টাকায় তাকে দলে নিচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে আবাহনীতে খেলবেন জাতীয় দলের দুই সতীর্থ তামিম ইকবাল ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তবে সিদ্ধান্ত ধরে রেখেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা ও মুশফিক। রূপগঞ্জে খেলবেন এ দুই তারকা। আর প্রাইম ব্যাংক ধরে রেখেছে সাব্বির রহমানকে। সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সৌম্য সরকার ও রুবেল হোসেন।
শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের হয়ে খেলবেন ইমরুল কায়েস, নুরুল হাসান সোহান ও তানবির হায়দার। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সে মুমিনুল হক, নাসির হোসেন ও শফিউল ইসলাম। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম ও শুভাশিস রায়।
পুলে থাকা মোশাররফ হোসেন রুবেল খেলবেন প্রথম বিভাগ থেকে প্রিমিয়ারে উন্নীত হওয়া দল খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির হয়ে। তবে পুলের ক্রিকেটার নেয়নি প্রাইম দোলেশ্বর, কলাবাগান ক্রীড়া চক্র, বাদ্রার্স ইউনিয়ন ও পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। কোন দলের হয়ে খেলবেন তা এখনও চূড়ান্ত করেননি পুলে থাকা তাসকিন আহমেদ।
বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় আছেন জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা। তাই সে সফর শেষে দেশে ফিরে দলবদলের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন ক্রিকেটাররা।
প্রিমিয়ার লিগের গত দুই আসরের দলবদল প্লেয়ার্স বাই চয়েজের মাধ্যমে খেলতে হয়েছিল ক্রিকেটারদের। ফলে প্রত্যাশার অর্ধেক মূল্যেই খেলতে হয়েছিল তাদের। তবে এবার উন্মুক্ত পদ্ধতিতে দলবদল হওয়ায় ন্যায্য পারিশ্রমিক পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। জানা গেছে, পুলে থাকা ১৯ ক্রিকেটারের সবাই পাচ্ছেন ৩০ লাখের উপরে। ৫০ লাখে মুশফিক ও মাশরাফি খেলবেন রূপগঞ্জে।
এদিকে প্রিমিয়ার লিগ চলাকালে একই সময়ে চলবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। তাই পুলে থাকা সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমানকে সেভাবে পাওয়া যাবে না ভেবেই তাদের এখনো নিশ্চিত করেনি কোনো দল।
উল্লেখ্য, আগামী ৭ এপ্রিল শুরু হবে প্রিমিয়ার লিগ। বিকেএসপির দুটি ভেন্যু ও ফতুল্লায় হবে সবগুলো খেলা। প্রতি দলে তিনজন পুলের খেলোয়াড়ের পাশাপাশি একজন করে বিদেশি ক্রিকেটার খেলাতে পারবে ক্লাবগুলো। তবে সুপার লিগে দুই জন বিদেশি খেলানোর কথা ভাবছে সিসিডিএম। মে-জুনে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা দেশের বাইরে থাকবেন বলেই ঘাটতি পোষাতে এমন ভাবনা।
আরটি/এনইউ/পিআর