মিরাজ-মোস্তাফিজকে ফিরিয়ে হেরাথের জোড়া আঘাত

দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে লক্ষ্মণ সান্দাকানের ঘূর্ণিতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের ইনিংস। তৃতীয় দিনের শেষ সেশনেও সেই একই চিত্র। তবে এবার সান্দাকানের পরিবর্তে ঘূর্ণি জাল বুনেন লঙ্কান অধিনায়ক হেরাথ। টানা দুই বলে ফিরিয়ে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোস্তাফিজুর রহমানকে। ফলে হঠাৎই বদলে যায় ম্যাচের পরিস্থিতি। দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে স্বাগতিকরা।

হেরাথের করা ১২৯তম ওভারে প্রথম বলটি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে চেয়েছিলেন মিরাজ। তবে বল টার্ন করলে ব্যাটে লাগাতে ব্যর্থ হলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। যদিও মিরাজ রিভিউ নিয়েছিলেন তবে শেষ রক্ষা হয়নি তার। সিদ্ধান্ত লঙ্কানদের পক্ষেই যায়।

এরপর উইকেটে নামেন মোস্তাফিজ। প্রথম বলেই হেরাথের ঘূর্ণিতে পড়েন তিনি। অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বল টার্ন করলে প্যাডে লাগে মোস্তাফিজের। ফলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। যদিও টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বল লেগ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরেই ছিল। রিভিউ না নেওয়ায় সাজঘরে ফেরেন তিনি।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৪৬৬ রান। লঙ্কানদের চেয়ে এখন এগিয়ে আছে ১২৮ রানে। এক প্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করে ৭৫ রানে অপরাজিত আছেন মোসাদ্দেক। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন শুভাশিস রায়।

এর আগে সকালে গুরুদায়িত্ব মাথায় নিয়ে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে উইকেটে আসেন মুশফিক। এক প্রান্তে দারুণ দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন তিনি। ওয়ানডে স্টাইলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৭তম হাফ সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৮১ বলে ৬টি চারে ৫২ রান করে বোল্ড আউট হন তিনি। নতুন বল হাতে নিয়েই মুশফিককে পরাস্ত করেন সুরাঙ্গা লাকমল।


হাফ সেঞ্চুরি তুলে মুশফিক বিদায় নিলেও একপ্রান্তে অবিচল সাকিব। সুরাঙ্গা লাকমলের বল ফাইন লেগে ঠেলে দিয়ে নিজের হাফ সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ৬৯ বলে। এরপর দিলরুয়ান পেরেরার বলে চার মেরেই নিজের সেঞ্চুরি পূরণ করেন সাকিব। শেষ পর্যন্ত ১৫৯ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ১১৬ রান করেন তিনি। মোসাদ্দেকের সঙ্গে ১৩১ রানের জুটি গড়েন তিনি।

তবে সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ থাতে পারেননি সাকিব। উঠিয়ে মারতে গিয়ে আউট হন এ অলরাউন্ডার। সান্দাকানের বলে মিড অনের উপর দিয়ে চার মারতে চেয়েছিলেন সাকিব। তবে ধরা পড়েন চান্দিমালের হাতে। দারুণ এক ক্যাচ লুফে নেন এ লঙ্কান। ফলে আরও একবার নিজের উইকেট বিলিয়ে আসেন সাকিব।

আরটি/এনইউ/পিআর