সাকিবের এমন ব্যাটিংয়ের ব্যাখ্যা নেই ব্যাটিং কোচের কাছে
নিঃসন্দেহে তিনি বাংলাদেশ দলের সেরা খেলোয়াড়। ব্যাট এবং বল হাতে তিনি বাংলাদেশ দলের সেরা পারফরমার। তার কাছ থেকে সবাই দায়িত্বশীল ব্যাটিংই প্রত্যাশা করেন। বিশেষ করে, দলের বিপর্যয়ের মুহূর্তে তিনি ধরে খেলবেন, দলকে অনেকদুর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন, এমনটা আশা করেন সবাই।
কিন্তু সাকিব আল হাসান হাঁটের উল্টো পথে। দলের পরিস্থিতি কী, সেটা বিবেচনা করেন না তিনি। নিজের স্বাভাবিক খেলা বলে অহেতুক বিপজ্জনক কিংবা বাজে শট খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন। তিনি যদি দলের প্রয়োজনের মুহূর্তে ধৈয্য ধরে খেলতে পারতেন, তাহলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট জয়ের সম্ভাবনা ছিল বাংলাদেশের। নিউজিল্যান্ডে ওয়েলিংটন টেস্ট ড্র করতে পারতো বাংলাদেশ কিংবা গল টেস্টও ড্র করতে পারতো টাইগাররা। ভারতের হায়দরাবাদেও একই স্টাইলে ব্যাটিং করেছেন তিনি।
কলম্বোয় আজও যখন একের পর এক উইকেট পড়ছিল, তখন তিনি মাঠে নেমে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন। একটি ক্যাচও তুলেছিলেন। ভাগ্যিস ক্যাচটা মিস হয়েছিল। না হয়, সাজঘরে হয়তো আজই ফিরে যেতে পারতেন তিনি।
তারপরও কেন আজ সাকিব শেষ দিকে অযথা এলোমেলো ব্যাট ছুড়লেন? তারও কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন না বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ সামারাবিরা। প্রশ্ন উঠলো সাকিব বারবার দলের বিপদেও এলোমেলো এবং দায়িত্বহীন শট খেলেন কেন? বলা হয়, এটাই তার ন্যাচারাল ব্যাটিং।
এ সম্পর্কে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচের ব্যাখ্যা, ‘কারও ন্যাচারাল ব্যাটিং থাকতেই পারে। কেউ অনুকুল-প্রতিকুল অবস্থাতেও একইরকম ব্যাটিং করতে পারেন। সেটা তার ব্যাটিং স্টাইল। তবে সেটা ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টিতে যতটা কার্যকর, টেস্টে ততটা নয়। টেস্টে ব্যাট করতে হবে পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে এবং উইকেটের চরিত্র অনুযায়ী।’
প্রতিপক্ষের পরিকল্পনার কথা মাথায় রাখার পরামর্শ দিয়ে সামারাবিরা বলেন, ‘মাথায় রাখতে হবে, প্রতিপক্ষ দলও আমাকে নিয়ে কোনো না কোনো কৌশল আঁটছে। আমার জন্য কোনো ফাঁদ তৈরি করছে। কিছুতেই সে ফাঁদে পা দেয়া যাবে না। প্রতিপক্ষের পরিকল্পনা নস্যাৎ করতে দরকার যথার্থ অ্যাপ্রোচ ও অ্যাপ্লিকেশন। সেখানে নিজের মত খেলতে গেলেই বিপদ।’
এআরবি/আইএইচএস/জেআইএম