এবারও লম্বা ইনিংস খেলতে ব্যর্থ সৌম্য
টানা তিনটা হাফ সেঞ্চুরি। সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে এবার একটা লম্বা ইনিংস প্রত্যাশা করেছিল সবাই। এত দারুণ ছন্দে খেলছিলেন, তার ব্যাট থেকে তিন অংকের একটি ইনিংস আশা করাটা বোকামি ছিল না; কিন্তু আবারও আশা জাগিয়ে বিদায় নিলেন বাংলাদেশ দলের এ ওপেনার। শ্রীলংকান নতুন বোলিং সেনশেসন, চায়নাম্যান লক্ষ্মণ সান্দাকানের রংওয়ানের শিকার হয়ে ৬১ রানে বিদায় নিলেন সৌম্য।
তার ব্যাটিং সামর্থ্য নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। অসাধারণ টেকনিক। দুর্দান্ত সব শটের সমাহার। সৌম্য সরকার জাতীয় দলে এসেছেনই অমিত সম্ভাবনা নিয়ে; কিন্তু অভিষেকের পর যেভাবে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ রেখেছিলেন, মাঝ পথে এসে খেই হারিয়ে বসেন। নিউজিল্যান্ড সিরিজে তো একের পর এক সমালোচনার মুখেও তাকে সুযোগ দিয়ে গিয়েছিলো টিম ম্যানেজমেন্ট।
ভারতের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ইমরুল কায়েসের ইনজুরিতে আবারও দলে সুযোগ পেয়ে যান সৌম্য। তামিমের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে নামেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ১৫ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে করলেন ৪২ রান।
তবুও শ্রীলংকা সফরে তিনি ওপেন করবেন নাকি করবেন না, কিংবা দলেই থাকতে পারবেন কি না তা নিয়ে ছিল সংশয়; কিন্তু ইমরুলের ইনজুরি আবারও তাকে সুযোগ করে দেয় শ্রীলঙ্কা সফরে। এই সুযোগটা আর হারালেন না উদীয়মান এই ব্যাটসম্যান। গল টেস্টে বাংলাদেশ হেরে গেলেও দুই ইনিংসেই হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ৭১ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৫৩ রান।
কলম্বো টেস্টে শ্রীলংকাকে ৩৩৮ রানে বেধে রাখার পর ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবালের সঙ্গে ৯৫ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন সৌম্য। ৪৯ রান করে তামিম ফিরে যাওয়ার পর ইমরুল কায়েসকে নিয়ে ইনিংসের হাল তিনি। দু’জনের ৩৫ রানের জুটি বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখাচ্ছিল বড় স্কোরের।
কিন্তু লক্ষ্মণ সান্দাকানের দুসরার শিকার হলেন সৌম্য সরকার। তার রংওয়ান ডেলিভারিটি কোনোভাবেই বুঝে উঠতে পারেননি বাংলাদেশ দলের এই ওপেনার। পুরোপুরি পরাস্ত হলেন। ব্যাট এবং প্যাডের ফাঁক গলে বল গিয়ে সোজা আঘাত হানলো স্ট্যাম্পে। এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্যারিয়ার সেরা ৮৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
দলীয় ১৩০ রানে আউট হলেন সৌম্য। এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের রান ২ উইকেট হারিয়ে ১৩৭। ১৬ রান নিয়ে ক্রিজে রয়েছেন ইমরুল কায়েস। তার সঙ্গী সাব্বির রহমান ৫ রানে।
আইএইচএস/জেআইএম