৩৩৮ রানে থামল শ্রীলঙ্কা
লক্ষণ সান্দাকানকে নিয়ে শেষ উইকেটে সুরাঙ্গা লাকমল যেভাবে ব্যাটিং করছিলেন তাতে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন টাইগারদের। মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন- ২০০৪-এ ঢাকা টেস্টে জহির খান ও শচিন টেন্ডুলকারের ১৩৩ রানের জুটির কথা। তবে শতরান কম হয়ে এদিন ৩৩ রানের মাথায় জুটি গড়েই থামলেন তারা। তবে দলের জন্য কাজের কাজটি করে গেছেন লঙ্কানরা। দ্বিতীয় দিন সকালে আরও ১০০ রান যোগ করে ৩৩৮ রানে নিজেদের প্রথম ইনিংস শেষ করে স্বাগতিকরা।
বৃহস্পতিবার কলম্বোর পি সারা স্টেডিয়ামে আগের দিনের ৭ উইকেটে ২৩৮ রান নিয়ে ব্যাটিং করতে নামে শ্রীলঙ্কা। তবে দলের পক্ষে ১২ রান যোগ করতেই অধিনায়ক রঙ্গনা হেরাথকে হারায় তারা। দারুণ এক ডেলিভারিতে তাকে স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা সৌম্য সরকারের তালুবন্দি করান সাকিব আল হাসান। ৯১ বলে ২৫ রান করেন হেরাথ।
তবে একপ্রান্তে সাবলীল ব্যাটিং চালিয়ে যান দলের একমাত্র অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান দিনেশ চান্দিমাল। তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের বিপক্ষে চতুর্থ। ২৪৪ বল মোকাবেলা করে মাত্র ৬টি চারের সাহায্যে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই লঙ্কান।
শেষপর্যন্ত ৩০০ বলে ১০টি চার ও একটি ছক্কায় ১৩৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে মিরাজের বলে আউট হন তিনি। মিরাজের করা ১০৬তম ওভারে শেষ বলটি মিডউইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন চান্দিমাল। অনেকটা লাফিয়ে ক্যাচটি তালুবন্দি করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। সবচেয়ে বড় কথা- নবম উইকেটে সুরাঙ্গা লাকমলের সঙ্গে গড়েন ৫৫ রানের জুটি।
চান্দিমাল আউট হলেও বাংলাদেশের হতাশা বাড়িয়ে তোলেন লাকমল। সান্দাকানকে নিয়ে শেষ উইকেটে গড়েন ৩৩ রানের জুটি। এ জুটি ভাঙেন শুভাশিস রায়। থার্ডম্যানে তার ক্যাচ সৌম্য সরকার তালুবন্দি করার আগে দল পৌঁছে যায় ৩৩৮ রানে। ৪৫ বলে ৩৫ রান করেন লাকমল।
বাংলাদেশের পক্ষে ৯০ রানে ৩টি উইকেট নেন মিরাজ। এছাড়া মোস্তাফিজ, শুভাশিস ও সাকিব পান ২টি করে উইকেট। ১টি উইকেট নিয়েছেন তাইজুল।
আরটি/এনইউ/পিআর