ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

টেকনিকে নয়, ব্যাটসম্যানদের সমস্যা মানসিক : পাপন

প্রকাশিত: ০৪:৩৬ এএম, ১৪ মার্চ ২০১৭

একের পর এক ব্যাটিং ব্যর্থতা, বাংলাদেশের উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় টেস্টগুলোর অপমৃত্যু ঘটাচ্ছে। যে টেস্টগুলোতে নিশ্চিত জয় কিংবা অন্তত ড্র করা সম্ভব, সেগুলো হেরে যাচ্ছে বাজে ব্যাটিংয়ের কারণে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান তাই যারপরনাই ক্ষুব্ধ ব্যাটসম্যানদের ওপর। তিনি খুঁজেই পাচ্ছেন না, কেন ব্যাটসম্যানরা এত বাজে শট খেলে আউট হচ্ছেন। পাপনের মতে, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের টেকনিকে সমস্যা নেই, সমস্যা হচ্ছে মানসিকতায়।

সোমবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন টেস্টে ব্যাটসম্যানদের ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি মানসিকতার বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান। তার মতে, টেস্টের ব্যাটিং যেন ভুলেই গেছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। সে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যাটসম্যানদের শট সিলেকশন তো খুবই বাজে। শট দেখে মনে হয় আমরা টেস্টেও ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টির স্টাইলে খেলতে চাচ্ছি। ডিফেন্স করার জন্য যে খেলা, আমরা মনে হয় তা ভুলেই গেছি!’

Vision

বিসিবি সভাপতির মতে, নিউজিল্যান্ড এবং ভারতের বিপক্ষে খেলে আসার পর তো শ্রীলংকায় স্পিন খেলতে সমস্যা হওয়ার কথা না। সেখানে ফ্ল্যাট উইকেটে কেন বাংলাদেশ একদিনও ব্যাট করতে পারলো না? নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যাট করতে পারলে তো বাংলাদেশ অন্তত তিনটি টেস্ট ড্র করতে পারতো। তিনি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার ফ্ল্যাট উইকেটে এক দিন ব্যাট করতে পারব না! নিউজিল্যান্ডে খেলেছি, ভারতে স্পিন খেলে এসেছি, এখানে খেলতেই পারব না, এটা হওয়ার কথা না। সমস্যা তাই আছে। এটা বের করতে হবে। যে রকম হচ্ছে আমাদের, এ রকম ব্যাটিং-বোলিং করলে কারও সঙ্গে জেতার কথা নয়।’

তামিম-সাকিবদের এখন আর শেখানোর সময় নেই। তাদের মত সিনিয়রদের কাছ থেকে দায়িত্বজ্ঞানহীন শট কেউ আশা করে না। কোচ কিংবা ম্যানেজমেন্ট তাদেরকে বলে দেন না আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে আউট হয়ে আসতে। কোচদের জবাবদিহীতার প্রসঙ্গ আসলে এসব বিষয়ে কথা বলেন পাপন। তিনি বলেন, ‘কোচ তো এভাবে খেলতে বলেননি। আমরা বলেছি এভাবে খেলতে? বলিনি...। এভাবে খেলে আউট হতে বলব! তামিম, সাকিবদের কি বলে বোঝাতে হবে? সেই বয়স আছে? নতুনদের এসব বলা যায়। টেস্টে যে বল মারারই দরকার নাই, সেটা খেলে আমরা আউট হচ্ছি। টেকনিকের চেয়ে সমস্যাটা বেশি মানসিক। টেকনিকে কারও ঘাটতি নেই।’

আইএইচএস/জেআইএম

আরও পড়ুন