ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

বিসিএল চ্যাম্পিয়ন ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন

প্রকাশিত: ০২:২০ এএম, ১৩ এপ্রিল ২০১৫

 আবুল হাসান রাজুর ঝড়ো অপরাজিত ৩৯ রানের সুবাদে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন।

রোববার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বিসিএলের ওযানডে টুর্নামেন্টের শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে তারা নাটকীয়ভাবে ৩ উইকেটে হারিয়েছে বিসিবি নর্থ জোনকে। বিসিবি নর্থের করা ২৯১ রানের জবাবে ছয় বল বাকী থাকতেই জযের বন্দরে পৌঁছায় মুমিনিুল হক সৌরভের দলটি।

পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা বিসিএলর ফাইনাল ম্যাচটি একবার বিসিবি নর্থ জোনের পক্ষে হেলে পড়লেও পরক্ষণে সেটি আবার হেলেছে ইসলামী ব্যাংকের অনকুলে। এভাবেই এগিয়েছে ম্যাচটির ভাগ্য।

শেষ তিন ওভারে ইসলামী ব্যাংকের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩২ রানের। হাতে ছিল তাদের ৩টি উইকেট। কিন্তু নাসিসের করা ৪৪তম ওভার থেকে ১৮ রানে তুলে নেন আবুল হাসান ও আরাফাত সানি।

আর ফরহাদ রেজার করা ৪৫ ওভার থেকে ১৭ রান তুলে নেয়ায় তাদের আর শেষ ওভারে যেতে হয়নি। কারণ বৃষ্টিতে খেলা মাঝপথে বন্ধ হওয়ায় ইসলামী ব্যাংকের নতুন টর্গেট দেযা হয় ৪৬ ওভারে ২৭৮ রানের।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাঁমহাতি ওপেনার তামিম ইকবালের (১০) উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বিপদে পড়ে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভকে সঙ্গে নিয়ে ১০২ রানের জুটি গড়ে ইনিংস মেরামতে মনোযোগী হন লিটন কুমার দাস।

ফরহাদ রেজার শিকার হওয়ার আগে ৩৫বলে ছয় চার ও দুই ছক্কার মারে ৫০ রান করেন লিটন কুমার। চারে ব্যাট করতে নামা তাসামুলকে সঙ্গে নিয়ে স্কোর বোর্ডে ২৪ রান যোগ করতেই বৃষ্টির বাগড়ায় পড়ে বিসিএলের ফাইনাল ম্যাচটি।

এ সময় ইসলামী ব্যাংক ২০ ওভারে তুলেছিল রান ২ উইকেট হারিয়ে ১৩১ রান। প্রায় দেড় ঘন্টা বৃষ্টিতে বন্ধ ছিল খেলা। বৃষ্টি থামার পর মুমিনুল হক সৌরভের দলের নতুন লক্ষ্য মাত্রা দাঁড়ায় ৪৬ ওভারে ২৭৮ রান। মুমিনুল হক (৭৮) দ্রুত সিঙ্গেলস রান নিয়ে গিয়ে রানআউট হন।

পরে ইসলামী ব্যাংকের হাল ধরেন আসিফ আহমেদ ও আবুল হাসান রাজু। আসিফ আহমেদ (৪৬) রানে ফিরে গেলেও দলকে জিতেয়েই তবে মাঠ ছেড়েছেন রাজু (৩৯)*।

এরআগে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বিসিবি নর্থ জোনের অধিনায়ক নাসির হোসেন। যদিও মাত্র ২৪ রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া দলকে টেনে তুলেন মাহমুদুল হাসান লিমন ও মুশফিকুর রহিম।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে লিমনের সঙ্গে ৬৪ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক (৩১)। এরপর চতুর্থ উইকেটে নাসির হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে কার্যকরী ইনিংস খেলেন ওপেনার লিমন। এই জুটির করা ১৪০ রানের কল্যাণে তিনশত রানের কাছাকাছি গিয়ে পৌঁছায় বিসিবির দলটি।

এদিন আসিফ আহমেদ রাতুলের শিকার হওয়ার আগে ১৩২ বল মোকাবেলায় ১১টি বাউন্ডারিতে ১০৭ রান সংগ্রহ করেন মাহমুদুল হাসান। রাতুলের দ্বিতীয় শিকার হন বিসিবির হয়ে ঝড়ো ইনিংস খেলা নাসির হোসেন। সাজঘরে ফেরার আগে ৮৪ বলে আট বার ও দুই ছক্কায় ৯৬ রান করেন বিসিবির দলনায়ক।

শেষ দিকে দেলোয়ার হোসেনের ৯ বলের করার ১৭ রানের সুবাদে ২৯১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে বিসিবি নর্থ জোন। ইসলামী ব্যাংকের আসিফ আহমেদ রাতুল ও আরাফাত সানি ২টি করে উইকেট পান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
বিসিবি নর্থ জোন: ৫০ ওভারে ২৯১/১০ (মাহমুদুল হাসান ১০৭, নাসির হোসেন ৯৬, মুশফিকুর রহিম ৩১; আসিফ আহমেদ রাতুল ৫০/২, আরাফাত সানি ২/৫১০)।
ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন: ৪৫ ওভারে ২৮১/৭ (মুমিনুল ৭৮, লিটন কুমার ৫০, আসিফ আহমেদ ৪৬, আবুল হাসান ৩৯*, তাইজুল ৩/৫৬ও ফরহাদ রেজা ২/৫৮)।
টস: বিসিবি নর্থ জোন।
ফল: ৩ উইকেটে জয়ী ইসলামী ব্যাংক
ম্যাচ সেরা: আবুল হাাসান

পিআর