বাংলাদেশকে ৪৫৭ রানের লক্ষ্য দিল শ্রীলঙ্কা
জয় প্রায় অসম্ভব। কারণ লক্ষ্যটা, ৪৫৭ রানের পাহাড়সম। এর আগে ১৪০ বছরের ক্রিকেট ইতিহাসে চারশোর উপরে রান তাড়া করে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছে মাত্র ৩ বার। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৪১৮ রান। তাই জিততে হলে নতুন ইতিহাসই গড়তে হবে টাইগারদের। আর এমন দুর্বার লক্ষ্যই তামিম-মুশফিকদের ছুড়ে দিয়েছে লঙ্কানবাহিনী।
ক্রিকেটে কোন কিছুই অসম্ভব নয় বলেই হয়তো ভক্তরা আশায় থাকবেন, কোন মিরাকল ঘটিয়ে ফেলবে সাকিব-তামিমরা; কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখন আর জয় নয়, ম্যাচ বাঁচানোই লক্ষ্য টাইগারদের। তবে এ লক্ষ্য পার করতে হলেও পাড়ি দিতে হবে অনেক দুরের পথ।
আজ দিনে খেলা হবে ২৭ ওভার। তার উপর আগামীকাল সারাদিন তো পড়েই রয়েছে। সঙ্গে টাইগারদের চতুর্থ ইনিংসের রেকর্ড বরাবরই খারাপ। আগের দিন বৃষ্টি আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল বাংলাদেশের জন্য। কারণ এতে পুরো এক সেশনই ভেসে গেছে বৃষ্টির গহ্বরে। তা না হলে লক্ষ্যটা আরও দুরূহ হয়ে উঠত।
শুক্রবার গলে দারুণ সূচনাই পেয়েছিল বাংলাদেশ। উপুল থারাঙ্গা ও দিমুথ কারুনারাত্নের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৬৯ রান। এরপর তাসকিন আঘাত হানেন লঙ্কান শিবিরে। কারুনারাত্নেকে মাহমুদউল্লাহর দারুণ এক ক্যাচে পরিণত করে সাজঘরে ফেরান তিনি। এরপর মেন্ডিসকে নিয়ে ৬৫ রানের জুটি গড়েন থারাঙ্গা।
সাকিবের বলে মেন্ডিস ফিরলেও এক প্রান্তে অবিচল থেকে নিজের ক্যারিয়ারে তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন উপুল থারাঙ্গা। ১৭১ বলে করা ১১৫ রানের ইনিংসে ১১টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান তিনি।
দলের রান ১ যোগ হতেই আবার আঘাত হানে বাংলাদেশ। এবার গুনারত্নেকে বোল্ড করেন সাকিব। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ডিকভেলাও। ষষ্ঠ উইকেটে ৫২ রানের জুটি গড়েন চান্দিমাল ও দিলরুয়ান পেরেরা।
দলীয় ২৭৪ রানে পেরেরাকে ফেরান সকাল থেকেই দারুণ বোলিং করা মোস্তাফিজ। আর এর সঙ্গে সঙ্গেই ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় তখন ৪৫৭ রানের বিশার এক পাহাড়।
আরটি/এনইউ/আইএইচএস/জেআইএম