স্যামি-বিজয়দের ‘তৃতীয় শ্রেণির’ ক্রিকেটার বললেন ইমরান খান
লাহোরে ফাইনাল। এ কথা শুনেই ইমরান খান বলেছিলেন, এটা যেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবির) পাগলামি। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও সেই লাহোরেই হলো ফাইনাল ম্যাচ। শিরোপা নির্ধারণী ওই ম্যাচে কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সকে ৫৮ রানে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তোলে পেশোয়ার জালমি।
নিরাপত্তা অজুহাতে লাহোরে যেতে রাজি হননি কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সের কেভিন পিটারসেন, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, টাইমাল মিলস, লুক রাইট ও রিলে রুশো। তাদের পরিবর্তে কোয়েটা দলে নেয় পাঁচজন বিদেশি খেলোয়াড়। তারা হলেন- বাংলাদেশের এনামুল হক বিজয়, দক্ষিণ আফ্রিকার মরনে ভন উইক, জিম্বাবুয়ের এলটন চিগুম্বুরা ও শন আরভিন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের রিয়াদ এমরিট।
আর পেশোয়ার জালমির হয়ে খেলতে লাহোরে যান ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ক্রিকেটার ড্যারেন স্যামি, মারলন স্যামুয়েলস এবং ইংল্যান্ডের দুই ক্রিকেটার ডেভিড মালান ও ক্রিস জর্ডান।
কঠোর নিরাপত্তায় ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হলো। বিদেশি ক্রিকেটারদের লাহোরে টানতে সক্ষম হয় পিসিবি। পাকিস্তানের অনেকে তো বিদেশি খেলোয়াড়দের প্রশংসাই করেছেন। কিন্তু তাদের দলে নেই ইমরান খান। স্যামি-বিজদের ‘তৃতীয় শ্রেণির ক্রিকেটার’ বলে ব্যঙ্গ করলেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক।
পিএসএলের ফাইনালে খেলা বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে ইমরানের মন্তব্য ছিল এমন, “যারা খেলতে আসলো তাদের নামই তো শুনিনি। এরা সবাই ‘তৃতীয় শ্রেণির’। আমি মনে করি, আফ্রিকা কিংবা অন্য কোথাও থেকে কিছু লোক ধরে এনে বিদেশি ক্রিকেটার বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছে।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার স্যামির প্রসঙ্গ আসতেই ইমরান খানের দাম্ভিক উক্তি, ‘স্যামি একজন অধিনায়ক; কিন্তু বড় মাপের কোনো ক্রিকেটার নয়!’
ইমরান খান ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছেন একবার। আর ড্যারেন স্যামি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছেন দু’বার। দুজনই অধিনায়কের ভূমিকায় ছিলেন। এরপর কি স্যামিকে চেনেন না ইমরান? পাকিস্তানি এই ক্রিকেটার কি চেনেন না দুটি বিশ্বকাপের ফাইনালের নায়ক মারলন স্যামুয়েলসকে? পাকিস্তানের ক্ষুব্ধ ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রশ্নগুলো এমনই। কেউ কেউ তো ইমরান খানের মানসিক সুস্থতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন।
এনইউ/জেআইএম