শেষের আক্ষেপ তামিম-মুমিনুলের আউট
শ্রীলঙ্কা নিজেদের প্রথম ইনিংসে থামল ৪৯৪ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে শুভসূচনা এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকার। এ দু’জনের ব্যাটে উদ্বোধনী জুটিতেই উঠে গেলো ১১৮ রান। এরপরই বোকারমত আউট হয়ে গেলেন ওপেনার তামিম ইকবাল। তার আউটের পরই ছন্দপতন। ফিরে গেলেন মুমিনুল হকও। দ্বিতীয় দিনের শেষ মুহূর্তে এই দুটি আউটই আক্ষেপ হয়ে হয়ে থাকলো।
দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৩৩ রান। প্রথম ইনিংসে টাইগাররা এখনও পিছিয়ে ৩৬১ রানে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় দিন শেষে আক্ষেপ হয়ে রইল তামিম-মুমিনুলের দুটি আউট। না হয়, চোখ বন্ধ করে বলা যেতো, বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে।
বাংলাদেশের রান যখন ১১৮, খেলা চলছিল ৩৬তম ওভারের। তখনই বোকামিটা করে বসেন তামিম ইকবাল। লঙ্কান উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকভেলার চালাকি বুঝতে না পেরে রান নিতে গিয়ে রান আউটে কাটা পড়েন তামিম। তামিম ভেবেছিলেন, ডিকভেলা বুঝি বল ছেড়ে দিয়েছেন। ঠিকমত বুঝতে না পেরে উইকেট ছেড়ে দৌড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। সুযোগটা কাজে লাগাতে ভুল করলেন না লংকান উইকেটরক্ষক।
৫৭ রানে মৃত্যু ঘটে গেলো দারুণ সম্ভাবনাময়ী একটি ইনিংসের। ফিরে গেলেন তামিম ইকবাল। যে জুটিটি আরও বড় হতে পারতো, যে ছন্দে খেলছিলেন তামিম, তাতে হাফ সেঞ্চুরির ইনিংসটা ছুঁতে পারতো তিন অংকের ঘরও; কিন্তু কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে সাজঘরে ফিরলেন তামিম ইকবাল।
টেস্টে বাংলাদেশের অপরিহার্য ব্যাটসম্যান, যার ওপর সবচেয়ে বেশি ভরসা থাকে, সেই মুমিনুল হক মাঠে নামলেন এক বুক প্রত্যাশা নিয়ে; কিন্তু ১৭ বলে ৭ রান নিয়ে দিলরুয়ান পেরেরার বলে এলবির শিকার হলেন। ১১৮ রানের মাথায় প্রথম উইকেট এবং ১২৭ রানের মাথায় পড়লো দ্বিতীয় উইকেট। তামিম যদি ওভাবে বোকার মত আউট না হতেন, তাহলে হয়তো দিন শেষে বাংলাদেশের রানের পাশে থাকতো ‘বিনা উইকেট’; কিন্তু সেটা হয়ে গেলো ২ উইকেটে ১৩৩ রান। বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে ৩৬১ রান। হাতে আছে আর মাত্র ৮ উইকেট।
এর আগে দ্বিতীয় দিনের শুরু করেছিল শ্রীলংকা, ৪ উইকটে ৩২১ রান নিয়ে। উইকেটে ১৬৬ রানে থাকা কুশল মেন্ডিস এবং ১৪ রানে থাকা নিকওয়েল ডিকভেলা। ৩৯৮ রানে যখন জুটিটি ভাঙে তখন দু’জনের নামের পাশে ১১০ রাজের জুটি। আউট হয়েছেন তখন মেন্ডিসই। আক্ষেপ তার জন্য, মাত্র ৬ রান দুরে থাকতে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে তামিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।
ডিকভেলা খেলেন ৭৬ বলে ৭৫ রানের ইনিংস। এছাড়া দিলরুয়ান পেরেরা খেলেন ৫১ রানের ইনিংস। পরের ব্যাটসম্যানরা দাঁড়াতে পারেননি মূলতঃ মিরাজ, মোস্তাফিজ, সাকিব এবং তাসকিনদের সামনে। ১২৯.১ ওভার ব্যাট করে ৩.৮১ ইকনোমি রেটে ৪৯৪ রান করে অলআউট হয় শ্রীলংকা। ৪ উইকেট নেন মিরাজ। ২টি নেন মোস্তাফিজ। ১টি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ, শুভাশিস রায় এবং সাকিব আল হাসান।
এনইউ/আএইচএস/জেআইএম