তামিমের দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে মেন্ডিস
নো বলের কল্যাণে আগের দিন বেঁচে যাওয়া কুশল মেন্ডিসের সামনে সুযোগ ছিল ডাবল সেঞ্চুরির। দ্বিতীয় দিনে সে পথে এগিয়েও যাচ্ছিলেন। তবে কাছাকাছি এসে আর ধৈর্য্য হারিয়ে ফেললেন। মিরাজের বলে ছয় মেরে কাঙ্ক্ষিত সেই ডাবল সেঞ্চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়লেন তামিমের হাতে। দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়ে অবশেষে সাজঘরে ফেরালেন ১৯৪ রান করা কুশল মেন্ডিসকে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৪০৭ রান।
দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকেই উইকেটের অপেক্ষায় ছিল বাংলাদেশ শিবির। আর টাইগার বোলারদের দেখাশুনে খেলেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন লঙ্কান দুই ব্যাটসম্যান মেন্ডিস ও ডিকভেলা। তবে ইনিংসের ৯৫তম ওভারে মেন্ডিসকে সাজঘরে ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল মোস্তাফিজ। শুভাশিষের শর্ট বলে হুক করলেন মেন্ডিস। ফাইন লেগ সীমানায় দাঁড়িয়ে ক্যাচও ধরলেন মোস্তাফিজ। কিন্তু মুস্তাফিজ বল ধরে চলে গেলেন সিমানার বাইরে। ফলে যেটি হতে পারত আউট, সেটিতেই ছয়।
অবশেষে ইনিংসের ১০৪তম ওভারে এসে উইকেটের দেখা পেলো বাংলাদেশ শিবির। মিরাজের বলে ১৯৪ রান নিয়ে ক্রিজে থাকা মেন্ডিস ছয় মেরে ডাবল সেঞ্চুরি পূরণ করতে গিয়ে লং অন সীমানায় দুবারের চেষ্টায় দারুণ ক্যাচ নিলেন তামিম ইকবাল। আর এর সঙ্গে শেষ হল মেন্ডিসের দুর্দান্ত এক ইনিংস।
প্রথম দিনের শুরুটা ভালোই ছিল বাংলাদেশের। তবে আস্তে আস্তে খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। নো বলের কল্যাণে বেঁচে যাওয়া কুশল মেন্ডিসের ব্যাটে ভর করে স্বাগতিকরা শাসন করেছেন বাংলাদেশি বোলারদের। প্রথম দিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা ১৫ রানের মাথায় অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান উপুল থারাঙ্গা (৪) বোল্ডআউট শুভাশিস রায়ের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে। ৬০ রানে স্বাগতিকদের দ্বিতীয় উইকেটের পতন; মেহেদী হাসান মিরাজ ফেরান করুনারত্নেকে (৩০)।
দলীয় ৯২ রানে দিনেশ চান্দিমালকে (৫) হারায় স্বাগতিকরা। এ যাত্রায় উইকেট শিকারি মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর আর কেন যেন খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ! উইকেটের দেখা নেই। চতুর্থ উইকেটে ১৯৬ রানের পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা। কুশল মেন্ডিস ও গুনারত্নে শাসন করেছেন বাংলাদেশি বোলারদের।
এই জুটিতে আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। পড়ন্ত বেলায় নতুন বলে সফল হন তাসকিন। ৮৫ রান করা গুনারত্নে বোল্ড হন। আর তাতে বাংলাদেশ শিবিরে নেমে আসে স্বস্তি। আর প্রথম দিন শেষে ৪ উইকেটে ৩২১ রান সংগ্রহ শ্রীলঙ্কার।
এমআর/এমএস