ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

মাথা নিচু করেই মাঠ ছাড়লেন জিমিরা

প্রকাশিত: ০১:৪৫ পিএম, ০৭ মার্চ ২০১৭

ম্যাচ শেষে মিডিয়ার সামনে কে আসবেন, তা নিয়ে নাটক হলো বেশ কিছু সময়। অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমি না হোক আরেক সিনিয়র খেলোয়াড় মামুনুর রহমান চয়নকে প্রত্যাশা ছিল সংবাদ মাধ্যমের। কোচ অলিভার কার্টজ হলে তো আরও ভালো হয়। এ তিনজনের কেউ আসলেন না। এমন হারের পর মিডিয়ার প্রশ্ন বাণে কেই বা আসতে চান?

অনেক ঠেলাঠেলির পর গোলরক্ষক জাহিদ হোসেন বীরদর্পে দাঁড়ালেন মিডিয়ার সামনে। যে ওমানকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ঘানার জন্য মঞ্চ সাজিয়ে রেখেছিলেন কোচ অলিভার কার্টজ, সেই ওমান দেখিয়ে দিলেন তাদের ছোট করে দেখার মজাটা কি! পিছিয়ে পড়েও তারা ম্যাচ জিতেছে ৩-২ গোলে। এ হারে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বাংলাদেশ পড়েছে মিশরের সামনে। ওমান পেয়েছে ঘানাকে।

হকি ওয়ার্ল্ড লিগের রাউন্ড-২ এর ঢাকা পর্বের শেষ গ্রুপ ম্যাচে মঙ্গলবার জিমি-চয়নরা দিলেন ব্যর্থতার আরেকটি মহড়া। আগের ম্যাচে ফিজির বিপক্ষে ভুরি ভুরি সুযোগ নষ্ট করে পার পেলেও ওমানের বিপক্ষে তা সম্ভব হয়নি। যোগ্যতর দল হিসেবেই ম্যাচটি জিতে নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
hocky1
ম্যাচের পর জাহিদ হোসেন বলেছেন, তারা সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারেননি। তবে তাদের খেলা দেখে প্রশ্ন জেগেছে এর বেশি সামর্থ তাদের আছে কিনা। ফিটনেস, গতি, টেকনিক, কৌশল-সব বিবেচনায়ই এগিয়েছিল ওমান। ম্যাচের ফলটাও গেছে তাদের পক্ষে। আগের ৬ বারের সাক্ষাতে ওমানের জয়ই বেশি ছিল। সে পাল্লাটা আরো ভারি করল তারা। এ নিয়ে টানা তিনবার বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতল তারা। দেশের মাটিতে ওমানের বিপক্ষে এটাই বাংলাদেশের প্রথম হার।

শুরুটা ভালোই ছিল বাংলাদেশের। প্রথম কোয়ার্টারে বল দখলে এগিয়ে থেকে গোলও আদায় করেছিল স্বাগতিকরা। ৮ ও ৯ মিনিটে পাওয়া পেনাল্টি কর্নারের দ্বিতীয়টি কাজে লাগিয়ে স্বাগতিক শিবিরে উচ্ছ্বাস ছড়িয়েছিলেন মামুনুর রহমান চয়ন। সে উচ্ছ্বাস বেশি সময় ছিল না লাল-সবুজদের ১৩ মিনিটে পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে সমতা আনেন মিশরের মোহাম্মদ জানদাল। পাল্টা আক্রমণ থেকে বল নিয়ে শ্যুটিং সার্কেলে প্রবেশ করলে অনেকটা এগিয়ে এসে তাকে ফেলে দেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক অসীম গোপ। তিনি নিজেও আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন, দলকেও বিপদে ফেলে যান।
hocky12
দ্বিতীয় কোয়ার্টারে সবচেয়ে খারাপ খেলেছে বাংলাদেশ। যদিও ওই কোয়ার্টারেই রোমান সরকারের দর্শনীয় এক গোলে ম্যাচে দ্বিতীয়বার এগিয়ে যান জিমি-চয়নরা। কিন্তু সে অগ্রগামিতাও ধরে রাখতে পারেননি। উল্টো ম্যাচটি হেরে কোয়ার্টার ফাইনালে কঠিন পরীক্ষার মুখে অলিভারের শিষ্যরা।

মাঝ মাঠে এক চেটিয়া প্রাধান্য ছিল ওমানের। বাংলাদেশের বল নিয়ন্ত্রণ, পাস, হিট- কোনো কিছুই সঠিকভাবে হয়নি। ঘরের মাঠ, পরিচিত পরিবেশ, চেনা দর্শক-কোনো কিছুই অনুপ্রাণিত করতে পারেনি দলকে। ওমান যেখানে পরিকল্পিতভাবে প্রতিটি কোয়ার্টার পার করেছে, সেখানে বাংলাদেশ ছিল ছন্নছাড়া। শেষ কোয়ার্টারে চাপ সৃষ্টি করেছিল ঠিকই, সময় দ্রুত চলে যাওয়ায় তাড়াহুড়াও ছিল বেশি। শেষ কোয়ার্টারে বাংলাদেশের কাছে সিংহভাগ সময় বল থাকলেও কাজের কাজটি করতে পারেনি। ওমানের পোস্টের সামনে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন ফরোয়ার্ডরা।
hocky13
সর্বনাশ যা হওয়ার হয়েছে দ্বিতীয় কোয়ার্টারেই। বিরতির চার মিনিট আগে প্রথমবার এগিয়ে যায় ওমান। তাদের কৌশল প্রশংসার দাবিই রাখে। পুরো ৩৩ মিনিট তারা অগ্রগামিতা ধরে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। হকিতে যেখানে মিনিটে মিনিটে গোল হওয়ার সুযোগ সেখানে ৩৩ মিনিটেও ওমানের জাল খুঁজে পাননি জিমিরা। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির বিপক্ষে আরেকটি লড়াই হেরে মাথা নিচু করেই মাঠ ছাড়ে এএইচএফ কাপ চ্যাম্পিয়নরা। মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের এক প্রান্ত যেন তখন এক টুকরো ওমান।

কোয়ার্টার ফাইনাল

৯ মার্চ
সকাল ৯.১৫ মিনিট : মালয়েশিয়া-শ্রীলঙ্কা
বেলা ১১.৩০ মিনিট : চীন-ফিজি
দুপুর ১.৪৫ মিনিট : ওমান-ঘানা
বিকেল ৪.০৫ মিনিট : বাংলাদেশ-মিশর

আরআই/এনইউ

আরও পড়ুন