ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

শুরু হচ্ছে টাইগারদের জমকালো সংবর্ধনা

প্রকাশিত: ১০:১৬ এএম, ১১ এপ্রিল ২০১৫

বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফরম্যান্স করা টাইগারদের  গণসংবর্ধনা শুরু হয়েছে। শনিবার দুপুর আড়াইটায় বিসিবির আয়োজনে মানিক মিয়া এভিনিউতে এ সংবর্ধনা শুরু হয়। গণসংবর্ধনায় আইপিএল খেলার কারণে উপস্থিত থাকছেন না বিশ্বসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।

১৯৯৭ সালে আকরাম খানের নেতৃত্বাধীন আইসিসি ট্রফি জয়ী দলকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে গণসংবর্ধনা দেয়া হয়েছিল। ঠিক তার ১৮ বছর পর বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে ফেরা মাশরাফি বিন মর্তুজার দলকেও একই জায়গায় সংবর্ধনা দেয়া হচ্ছে।

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের কারণে চট্টগ্রামে মাশরাফিদের সংবর্ধনা স্থগিত হওয়ার পর ঢাকার সংবর্ধনা নিয়েও শঙ্কা ছিলো। তবে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন জানান, ঢাকায় সংবর্ধনা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। বিশ্বকাপে ভালো পারফরম্যান্স করায় বিসিবি থেকে এই প্রথম ক্রিকেটারদের সংবর্ধনা দেয়া হচ্ছে।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে যায়। তবে বিশ্বকাপে মাশরাফি বাহিনীর পারফরম্যান্স মন ভরিয়ে দেয় গোটা বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। বিশ্বকাপ শেষে বাংলাদেশ দল দেশে ফেরে গত ২২ মার্চ। সেদিন বিমান বন্দরে হাজারো সমর্থক হাজির হলেও তারা সংবর্ধনা জানানোর কোনো সুযোগ পাননি।

যদিও দেশে ফেরার পর নিজ নিজ জেলায় সংবর্ধনা পেয়েছেন ক্রিকেটাররা। শনিবার মাশরাফিদের গণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সবার জন্য উন্মুক্ত থাকছে।

নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার ক্রিকেটারদের এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।

এদিকে ক্রিকেটারদের জন্য বড় অর্থ পুরস্কারেরও ঘোষণা আসছে। মাশরাফিদের জন্য ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার মতো অর্থ পুরস্কার ঘোষণা আসবে। বিশ্বকাপে দারুন নেতৃত্বের জন্য মাশরাফি বাড়তি পুরস্কার হিসেবে পাবেন ২ লাখ টাকা। এছাড়া মাহমুদউল্লাহর জন্য থাকতে পারে বোনাস পুরস্কার।

বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, শনিবারের অনুষ্ঠানে পুরস্কার ঘোষণা দেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ক্রিকেটারদের নিজ বাসভবনে ডেকে সেই অর্থ তুলে দেবেন। যদিও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে কবে যাচ্ছেন ক্রিকেটাররা তা এখনো ঠিক হয়নি।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পাঁচটি ব্যান্ড পারফর্ম করবে। ব্যান্ডগুলো হলো- মাইলস, ওয়ারফেজ, অর্থহীন, ক্রিপটিক ফেইট ও নেমেসিস।

অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনটি ব্যান্ড তাদের গান পরিবেশনের পর মঞ্চে উঠবেন মাশরাফিরা। তখনই জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে। বিভিন্ন সংগঠন এরপর একে একে ক্রিকেটারদের শুভেচ্ছা জানানোর সুযোগ পাবে। এরপর বাকি দু’টি ব্যান্ড দল তাদের গান পরিবেশন করবেন।

এমআর/একে/আরআই