দিনটি আরও ভালো হতে পারত বাংলাদেশের
মিশ্র একটা দিন গেল বাংলাদেশের। আরও ভালো হতে পারত। দিনের শেষে গুনারত্নের আউটটা আমাদের জন্য স্বস্তির। কারণ, একটা বড় জুটি ভাঙতে পেরেছি। এখন আগামীকাল ওদের দ্রুত আউট করতে হবে। তবে যদি টসটা জিততে পারতাম, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হতো। এমন উইকেটে আগে ব্যাটিং অনেকটাই গিয়ে দেয়। ভাগ্য আমাদের কিছুটা বিপক্ষে গেছে।
ওদের নতুন ছেলেটা কুশল মেন্ডিস খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। দেড়শ’র ওপর রান করল। গুনারত্নেও দারুণ ব্যাটিং করেছে। ৯৬ রানে তিন উইকেট তুলে নেয়ার পর ভাবতেই পারিনি এতো বড় একটা জুটি হবে। তবে এখানেও ভাগ্য আমাদের সহায়তা করেনি। প্রথম বলেই ফিরে যেতে পারত সে। শুভাশিসের ওই বলটা নো বল না হলে আজকেই হয়তো আমরা ব্যাটিংয়ে নামতে পারতাম। তা না হলেও ৭-৮টা উইকেট তো অবশ্যই পড়ত।
একটা জিনিস খেয়াল করার মতো ছিল। মেন্ডিস জীবন পাওয়ার পর কিন্তু নিখুঁত ব্যাটিং করেছে এবং সেঞ্চুরি করেও দায়িত্ব নিয়ে খেলেছে। সেটাকে আরও বড় করেছে। এমনটাই করা উচিত। পঞ্চাশ হলে একশ’র দিকে আগাতে হয়, এরপর দেড়শ-দুইশ-তিনশ। আমাদেরও এভাবেই খেলতে হবে। এ উইকেটে ব্যাটসম্যানদেরই দায়িত্ব নিতে হবে বেশি।
উইকেট ঠিক যেমন ভেবেছিলাম তেমনটা হয়নি। একটু ঘাস ছিল। এজন্যই তিন পেসার নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ। বাতাসও ছিল। তবে আমাদের পেসাররা আজকে দারুণ বোলিং করেছে। মোস্তাফিজকে অনেক দিন পর লাল বলে বোলিং করতে দেখেও ভালো লাগলো। একটা মূল্যবান উইকেট ও এনে দিয়েছে। চান্দিমাল কিন্তু প্রস্তুতি ম্যাচে প্রায় দুইশ রান করেছিল। এছাড়া শুভাশিস ও তাসকিনও ভালো বোলিং করেছে।
সে অর্থে স্পিনাররা ভালো করতে পারেনি। উইকেটে কোনো টার্নই ছিল না বলেই তেমন কার্যকরী হয়নি স্পিন। আসলে গলের উইকেট সবসময়ই ব্যাটসম্যানদের সহায়তা করে। এ মাঠেই কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে আমাদের সর্বোচ্চ রান হয়েছে। এখানে বেশির ভাগ টেস্ট ড্রয়ের দিকেই যায়। তাই প্রথম দিন স্পিনাররা তেমন সহায়তা পায়নি। তবে কাল হয়তো কিছু সহায়তা পেতে পারে। তবে আমি চাই উইকেট ভাঙার আগে যত দ্রুত সম্ভব ওদের অলআউট করে ব্যাটিংয়ে নামা।
একই সঙ্গে আমি আজকে মুশফিকের অধিনায়কত্ব দেখে মুগ্ধ। আজকে বোলিংয়ে অনেক পরিবর্তন এনেছে। সৌম্য-মাহমুদউল্লাহকে দিয়েও বল করিয়েছে। যদিও আরেকটু আক্রমণাত্মক হতে পারত। হয়তো উইকেটের কারণেই এটা করেনি। ফিল্ডিং কিছুটা অলস ছিল। বাকি সব ঠিক আছে। কাল সকালে একটু আক্রমণাত্মক হলে ভালো হবে।
লিটনের কিপিং দেখে আমি বিস্মিত। খুবই চমৎকার কিপিং করেছে। উইকেটের পেছনে এমন বিশ্বস্ত একজনই দরকার ছিল। মুশফিক কিপিং ছেড়ে ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর লিটনের ব্যাটিং ক্ষমতাও আমরা জানি। সম্প্রতি ঘরোয়া ক্রিকেটে একটি ডাবল সেঞ্চুরি করেছে। প্রস্তুতি ম্যাচেও কিন্তু হাফসেঞ্চুরি তুলে অপরাজিত ছিল।
যেটা বলেছিলাম কাল সকালে যত দ্রুত পারা যায় মেন্ডিসকে আউট করতে হবে। আসলে পুরো দলকেই আউট করতে হবে। কারণ পাঁচ-ছয়শ রান করে ফেললে কিন্তু আবার চাপে পরে যেতে পারে বাংলাদেশ। তাই সেদিক খেয়াল রেখে বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়ে আরও প্রাণবন্ত হতে হবে।
আরটি/আইএইচএস