ব্যাটিং উইকেটের প্রত্যাশা মুশফিকের
২০১৩ সালের সেই টেস্টের কথাই ঘুরে ফিরে আসছে বার বার। গলে শ্রীলংকার বিপক্ষে ঐতিহাসিক এক টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ। ওই টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকান মুশফিকুর রহীম। তার আগেই ডাবল সেঞ্চুরির ধারপ্রান্তে গিয়ে, ১৯০ রানে আউট হয়ে যান মোহাম্মদ আশরাফুল। একই টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন মোহাম্মদ নাসিরও।
তিন সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশও সেবার চড়েছিল রানের চূড়ায়। টেস্ট ক্রিকেটে ওই একবারই ছয়শ’র বেশি রান তুলেছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে ৬৩৮ রানের সেই ইনিংসটি এখনও সেরা। প্রথম ইনিংসে সাঙ্গাকারা, চান্দিমাল আর থিরিমান্নের সেঞ্চুরিতে ৫৭০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছিল শ্রীলংকা। জবাবে লিড নিয়েছিল বাংলাদেশও।
শেষ পর্যন্ত সেই টেস্ট হয়েছিল ড্র। পুরো পাঁচদিন লড়াই করে দুর্দান্ত এক টেস্ট শেষে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। সেই সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনে এবার নেই। নেই লাহিরু থিরিমান্নেও। বাংলাদেশ দলের অনেক ক্রিকেটারই কিন্তু এবার রয়েছেন দলে। আশরাফুল-নাসিরছাড়া। তবুও টেস্টে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক যে পারফরম্যান্স, তাতে গলে ভালো খেলার আশা করতেই পারে টাইগাররা। এমনকি সাকিব-মুশফিকরা তো বলেই দিচ্ছেন, এবারই ভালো সুযোগ বাংলাদেশের।
এত আলোচনা কিন্তু গলে টেস্ট হওয়ার কারণে। এই মাঠে রান বন্যা বয়ে যায়। বাংলাদেশের বোলিং কম্বিনেশন এখন যে কোনো সময়ের তুলনায় সেরা। সুতরাং, জয়ের আশাও করছেন কেউ কেউ; কিন্তু তার আগে সবারই প্রশ্ন, কেমন হবে গলের উইকেট?
ক্রিকইনফোর ম্যাচ প্রিভিউতে উইকেট এবং কন্ডিশন নিয়ে যে তথ্য দেয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে- ম্যাচের দু’দিন আগেও গলের উইকেটের ওপর সবুজ ঘাস দেখা গেছে। যা সাধারণত গলের উইকেট যেমন থাকে তার চেয়ে ভিন্ন। খেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ঘাস বড় হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। যদিও সমুদ্র তীরবর্তী হওয়ার কারণে মৃদুমন্দ বাতাস কিংবা মার্চের প্রখর রোদের কারণে উইকেটের অবস্থা শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়ায় বোঝা কঠিন। যদিও চতুর্থ দিন থেকে ডাস্ট বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমের প্রত্যাশা ব্যাটিং উইকেটই হবে। তিনি বলেন, ‘সম্ভবত ২০১৩ সালের চেয়ে এবারের উইকেটটা একটু ভিন্নই হবে। তবুও আমার মনে হয়, ব্যাটিং করার জন্য এটা একটা আদর্শ উইকেট। তবে আমার মনে হয়, প্রথম দু’দিন পেসাররা এই উইকেট থেকে ভালো কিছু আদায় করতে পারবে। বাতাসও তাদেরকে সহযোগিতা করবে। এরপর স্পিনারদের জন্য আদর্শ উইকেট হয়ে উঠবে এটা।’
আইএইচএস/