দুশ্চিন্তার নাম ‘পেনাল্টি কর্নার’ মিস
এইতো কয়েক বছর আগেও পেনাল্টি কর্নার মানেই ছিলেন মামুনুর রহমান চয়ন। এখন পেনাল্টি কর্নারে গোল করায় পারদর্শী আছেন আরো। গত এশিয়ান অনূর্ধ্ব-১৮ হকিতে আশরাফুল ইসলাম নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নতুন পেনাল্টি কর্নার স্পেশালিস্ট হিসেবে।
চয়নের সঙ্গে আশরাফুল; বাংলাদেশ পেনাল্টি কর্নার পাওয়া মানেই গোলের বার্তা- এমনই ভাবা হচ্ছিল; কিন্তু ভাবনার সঙ্গে প্রত্যাশা মিলছে না- সব যেন গুলিয়ে যাচ্ছে। ফিজির বিপক্ষে চয়ন-আশরাফুলদের ভুরি ভুরি পেনাল্টি কর্নার মিস নতুন দুশ্চিন্তার জন্ম দিয়েছে বাংলাদেশ শিবিরে। ৫-১ গোলে জয়ের পরও আলোচনায় থেকে গেলো পেনাল্টি কর্নার।
হকি ওয়ার্ল্ড লিগের রাউন্ড-২ এ বাংলাদেশের লক্ষ্যটা ছিল পরিস্কার। মালয়েশিয়ার কাছে হারবে তা ধরে নিয়েই সব পরিকল্পা ছিল ফিজি ও ওমানের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচ নিয়ে। ফিজিকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে জিমিরা প্রথম প্রথম লক্ষ্য পুরণ করলেও কোচ অলিভার কার্টজ পেনাল্টি কর্নার নিয়ে কোনো কাজ করেছেন কি না সে প্রশ্নও উড়লো ম্যাচের পর। অধিনায়ক জিমি অবশ্য বলেছেন, ‘এভাবে পেনাল্টি মিস না হলে অনেক ব্যবধানে জিততে পারতাম। কোচ নিশ্চয় এ নিয়ে কাজ করবেন।’
ম্যাচে ১৩ টি পেনাল্টি কর্নার পেয়েছে বাংলাদেশ, গোল মাত্র ৩টিতে। অথচ ফিজি একটি পেনাল্টি কর্নার পেয়ে তা থেকেই একমাত্র গোলটি করেছে। প্রথম কোয়ার্টারেই বাংলাদেশ আদায় করে নেয় চারটি পেনাল্টি কর্নার। সপ্তম পেনাল্টি কর্নার থেকে আসে স্বস্তির গোল। ২৬ মিনিটে কৃষ্ণ-সারওয়ার-চয়নের কম্বিনেশনে গোলের খাতা খোলে স্বাগতিকরা।
১-০ গোলে প্রথমার্ধ শেষ করলেও দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটেই প্রথম পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে স্বাগতিকদের স্তম্ভিত করে দেন ফিজির দত্ত ইভান। ৫ মিনিট পর দলকে এগিয়ে দেন অধিনায় রাসেল মাহমুদ জিমি। খোরশেদের সঙ্গে বল দেয়া-নেয়া করে বাম দিক দিয়ে ফিজির সীমানায় ঢুকে পড়েন জিমি। তার দুর্দান্ত হিট আটকানোর কোনো সুযোগই পাননি অতিথি দলটির গোলরক্ষকের।
এগিয়ে যাওয়ার পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ থাকে বাংলাদেশের হাতেই। সে ধারাবাহিকতায়ই জিমি নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন ৪১ মিনিটে। শেষ দুই গোল আসে অবশ্য পেনাল্টি কর্নার থেকেই। ৫১ মিনিটে চয়ন ও ৫৮ মিনিটে আশরাফুল লক্ষ্যভেদ করে সহজ জয় উপহার দেন দলকে।
ম্যাচের পর জার্মান কোচ অলিভার কার্টজ বলেছেন, ‘ম্যাচে সবই ঠিক ছিল। শুধু স্কোরিংয়েই সমস্যা। পরের ম্যাচগুলোতে এ সমস্যাগুলো যাতে না থাকে সে দিকেই নজর দিচ্ছি আমরা।’
আরআই/আইএইচএস/আরআইপি