‘পিসিবির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পায়নি বিসিবি’
পাকিস্তানি মিডিয়ায় চাউর হয়ে গিয়েছে, বাংলাদেশকে লাহোরে গিয়ে সিরিজ খেলার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে পিসিবি। জিও টিভি থেকে শুরু করে পাকিস্তানের প্রথম সারির প্রায় সবগুলো গণমাধ্যমই এই খবর প্রকাশ করেছে। তাদের প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে সিরিজ খেলার জন্য আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। বিসিবি এই প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়ে একটি নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক দল লাহোরে পাঠাবে বলেও নাকি জানিয়েছে।
পাকিস্তানের এই প্রস্তাবের বিষয়ে যোগাযোগ করা হয় বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের সঙ্গে। তিনি শুরুতেই জানিয়ে দিয়েছেন, এমন কিছু তার জানা নেই। তবে তিনিও এই প্রস্তাবের বিষয়ে শুনেছেন বলে জানান।
জাগো নিউজকে জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমি শুনেছি যে পিসিবি অনানুষ্ঠানিকভাবে আমাদের যে কোনো একটি দলকে লাহোর নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এটা সাম্প্রতিক সময়ের কোনো ঘটনা নয়। হয়তো আইসিসির কোনো মিটিংয়ে বিসিবির সিইওর (নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন) সঙ্গে এ বিষয়ে তাদের কারও কথা হয়েছে। সেই আলোচনায় জাতীয় দল, এ দল, অনুর্ধ্ব-১৯ দল নাকি ডেভেলপমেন্ট স্কোয়াড- কোন দলকে তারা চায় সেটাও নিশ্চিত নয়। তারা হয়তো যে কোনো একটি দল চায় শুধু।’
পাকিস্তানে ক্রিকেট ফেরানোর ব্যাপারে পিসিবির চেষ্টার কথা উল্লেখ করে জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমরা সবাই জানি লাহোরে ক্রিকেট ফিরিয়ে নেয়ার জন্য প্রাণপন চেষ্টা করছে পিসিবি। তার প্রমাণ পিএসএলের ফাইনালকে তারা যে কোনো মূল্যেই হোক লাহোরে আয়োজন করতে চায়।’
তবে নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর কথা শুনে তাকে উড়িয়েই দিলেন জালাল ইউনুস। তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক দল পাঠানো পর্যন্ত বিষয়টা গড়ালে তো আমি পুরো বিষয়টাই জানতাম। এটা পুরোপুরি ভিত্তিহীন এবং ভুয়া খবর।’
বিসিবির আরেক পরিচালক এবং ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খানও প্রায় একই কথা জানিয়েছেন। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘আমিও পিসিবির এমন প্রস্তাবের কথা শুনেছি। তবে নিশ্চিত নই। হয়তো আইসিসির কোনো সভায় সিইওর সঙ্গে তাদের কারও কথা হয়ে থাকতে পারে এবং সেখানেই হয়তো অনানুষ্ঠানিকভাবে তারা প্রস্তাবটা দিয়েছে।’
জালাল ইউনুস আরেকটা বিষয় জানিয়ে রাখলেন। পাকিস্তান যে সময়ে বাংলাদেশের একটি দলকে চায় লাহোরে, আগামী নভেম্বরে। ওই সময় বাংলাদেশের বিপিএল রয়েছে। সুতরাং, বিপিএলের সময় তো কোনো দল পাঠানোই সম্ভব নয়।
এআরবি/আইএইচএস/আরআইপি