পাকিস্তানে খেলতে ইচ্ছুক সাকিব
শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই পাকিস্তানে নেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট! ২০০৯ সালের ওই ঘটনার পর শুধু জিম্বাবুয়েই সীমিত ওভারের সিরিজ খেলতে গিয়েছিল পাকিস্তানে। কিন্তু তারপরও বড় দলগুলোর আস্থা অর্জন করতে পারেনি তারা।
এই বন্ধ্যাত্ব (আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না থাকা) অবস্থা দূর করতে অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। নিজেদের আবারও নিরাপদ প্রমাণ করতেই পিসিএলের ফাইনাল লাহোরে করার ঘোষণা দেয় পিসিবি। পিএসএলের মাধ্যমে বিদেশি ক্রিকেটারদের ঘরে খেলাতে পারলে সেই কৌশল অনেকটাই কাজে দেবে; এমনটাই হয়তো ভাবছে পাকিস্তান।
কিন্তু ক্রিস গেইল ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, পিএসএলের ফাইনাল খেলতে পাকিস্তানে যেতে চান না। তাকে নিয়ে আশা করলে, সেই আশা পূরণ হবে না ফ্রাঞ্চাইজি ও পিএসএল কর্তাদের। পাশাপাশি ফেডারেশন ফর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন তো প্রায়ই বলে আসছে; এখনও নিরাপদ নয় পাকিস্তান।
আগামী ৯ মার্চের পিএসএল ফাইনালটা যে শহরে আয়োজন করার কথা বলছে পিসিবি। সেই লাহোরেই তো গত সপ্তাহে আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। নিহত হয়েছেন ১৩ জন। তাতে কী? পিসিবি তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেনি। কারণ একটাই; যে করেই হোক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে পাকিস্তানে ফেরাতেই হবে!
এদিকে চলতি পিএসএলে খেলছেন বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার; সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাকিব-তামিমের দল একই; পেশোয়ার জালমি। আর মাহমুদউল্লাহর দল কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্স। দল ফাইনালে উঠলেও খেলতে পারছেন না এই তিন ক্রিকেটার। কারণ- শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ খেলতে হবে তাদের।
চলতি এই আসরেই দুবাইয়ে সাকিব মুখোমুখি হন পাকিস্তানি পত্রিকা দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের। ওই পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিব জানান, ভবিষ্যতে কোনো একদিন পাকিস্তানে খেলতে চান তিনি। তবে তার জন্য যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে পাকিস্তানকে।
সাকিবের ভাষায়, ‘সর্বশেষ আমি পাকিস্তানে খেলেছি ২০০৮ সালে। সেটা ছিল আমার জন্য দারুণ অভিজ্ঞতা। দর্শক, মাঠ, পরিবেশ, ভক্ত; সবই ছিল চমৎকার। আমি আবারও পাকিস্তানে খেলতে ইচ্ছুক, যদি সবকিছু (নিরাপত্তা) ভালো হয়।’
বাংলাদেশি এই অলরাউন্ডার মনে করেন, একদিন পাকিস্তানের পরিবেশ-পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য উপযোগী হবে। বলেন, ‘যদি পিএসএল আরব আমিরাতে না হয়ে পাকিস্তানের মাটিতে হতো, তাহলে আসরটি আরও জমজমাট হতো। পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি খুবই কঠিন। আশা করি, একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে; পাকিস্তান আয়োজন করবে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট ও সিরিজ।’
এনইউ/আরআইপি