ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

মাহমুদউল্লাহর বিধ্বংসী বোলিংয়ে দিশেহারা করাচি

প্রকাশিত: ০৬:৩৮ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেই (বিপিএল) তিনি প্রমাণ করেছিলেন, টি-টোয়েন্টিতে কতটা কার্যকর। দুটি ম্যাচ তিনি খুলনা টাইটান্সকে জিতিয়েছিলেন শেষ ওভারের ভেলকি দেখিয়ে। জাতীয় দলের হয়ে এই বোলিং প্রতিভা ব্যবহার না হলেও পিএসএলে ঠিকই হাতের ঘূর্ণি দেখিয়ে দিচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান সংগ্র করেছে করাচি কিংস।

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস জিতে করাচি কিংসকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। আমন্ত্রিত হয়ে ব্যাট করতে নেমে বাবর আজম আর কুমার সাঙ্গাকারা মিলে ৬৩ রানের জুটি গড়ে করাচিকে ভালো সূচনা এনে দেন।

উইকেট ফেলতে না পেরে ইনিংসের অষ্টম ওভারে বাধ্য হয়ে মাহমুদউল্লাহকে আক্রমণে নিয়ে আসেন সফরাজ আহমেদ। এসেই প্রথম বলে যদিও বাবর আজমের হাতে বাউন্ডারি খেয়েছিলেন তিনি। এরপর আর তিন বলে ১ রান করে দিলেন তিনি। পঞ্চম বলে এসেই জুটি ভেঙে দেন রিয়াদ। তার বলের ফ্লাইট বুঝতে না পেরে এগিয়ে এসে খেলতে যান সাঙ্গাকারা। তাতেই সুযোগ পেয়ে স্ট্যাম্প ভেঙে দেন সরফরাজ।

দশম ওভারে এসে আর উইকেট পাননি তিনি। তবে রান দিয়েছেন মাত্র চারটি। বাবর আজম আর ক্রিস গেইলকে তার বলকে বেশ সমীহ করেই খেলতে হয়েছে। টানা তৃতীয় ওভারে বল করতে আসেন তিনি দলের ১২তম ওভারে।

এবারও কোয়েটার ত্রাণকর্তা মাহমুদউল্লাহ। ওভারের দ্বিতীয় বলেই হাসান খানের হাতে বাবর আজমকে দারুণ এক ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। এই ওভারে ৪ রানের সঙ্গে তুলে নিলেন ১ উইকেট। ৩৭ বলে ৩৬ রান করে আউট হন বাবর আজম।

টানা চতুর্থ ওভারও করে ফেলেন মাহমুদউল্লাহ। দলীয় ১৪তম ওভারে এসেও করাচির রানের লাগাম টেনে রাখতে সক্ষম হন তিনি। প্রথম তিন বলে দিলেন ২ রান। চতুর্থ বলে দিলেন বাউন্ডারি। পঞ্চম বলে এসে শোয়েব মালিকের উইকেট তুলে নিলেন। হাসান খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান শোয়েব মালিত।

শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহর বোলিং ফিগার দাঁড়ালো ৪-০-২১-৩। অর্থ্যাৎ ৪ ওভার বোলিং করে কোনো মেডেন নেই। রান দিয়েছেন ২১টি এবং উইকেট নিয়েছেন ৩টি। টি-টোয়েন্টিতে নিঃসন্দেহে বিধ্বংসী বোলিং। প্রথম দিকে সাঙ্গাকারা আর বাবর আজম মিলে যেভাবে রান তোলার গতি বাড়াচ্ছিলেন, মাহমুদউল্লাহ এসে তাদের সেই গতি শুধু থমকে দেননি, বলতে গেলে কোমরই ভেঙে দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত করাচির রান দাঁড়াল ১৫৪।

মাহমুদউল্লাহ ছাড়াও কোয়েটার হয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন আনোয়ার আলি। একটি নিয়েছেন মির হামজা।

আইএইচএস/

আরও পড়ুন