কোটি টাকায় কেনা আইপিএলের ফ্লপ তারকা
কিছুদিন আগেই হয়ে গেল আইপিএলের দশম সংস্করণের নিলাম পর্ব। নিলামে সর্বোচ্চ সাড়ে ১৪ কোটি রুপিতে ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার বেন স্টোকসকে দলে ভিড়িয়েছে পুণে। আর মাত্র ৪টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা টাইমাল মিলসকে ১২ কোটি রুপিকে দলে ভিড়িয়েছে রয়েল চ্যালেঞ্জার।
তবে আইপিএলে কিন্তু এরকম একাধিক নজির রয়েছে, যেখানে প্রচুর টাকা দিয়ে কেনা নামেরা মুখ থুবড়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে পরের মৌসুমেই তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তেমনই কিছু ফ্লপ তারকাকে।
অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ
আরসিবি থেকে সেই ২০০৯ সালে প্রায় ১৬ লক্ষ ডলারে চেন্নাই সুপার কিংসে এসেছিলেন ইংল্যান্ডের এই বিখ্যাত অলরাউন্ডার। চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছিলেন মাত্র তিন ম্যাচ। আর এতে ব্যাট হাতে করেন ৬২ রান এবং বল হাতে নেন তিন উইকেট।
যুবরাজ সিং
বাইশ গজে যুবরাজের ব্যাট কথা বললে বাকিরা নিশ্চুপ থাকেন। ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি যে কোনও ফর্ম্যাটেই। ২০১৫ সালে যুবরাজকে ১৬ কোটি টাকায় রেকর্ড দামে কেনে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। কিন্তু প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স দিতে পারেননি তিনি। সেই বছর ব্যাটিং গড় ছিল মাত্র ১৯.০৭।
রবিন উথাপ্পা
২০১১ সালে কর্নাটকের এই ব্যাটসম্যানকে ২১ লক্ষ ডলারে কিনে সবাইকে চমকে দেয় পুণে ওয়ারিয়র্স। ১৫ ম্যাচে মাত্র ১৭৫ রান করেন উথাপ্পা।
ড্যানিয়েল ক্রিশ্চিয়ান
অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের হয়ে হাতে গোনা কিছু ম্যাচ খেলা এই অলরাউন্ডারকে নয় লাখ ডলারে দলে ভেড়ান ডেকান চার্জার্স। দু’বছর ডেকানে ছিলেন ক্রিশ্চিয়ান। ২১ ম্যাচে ১৯ উইকেট এবং ৩৩৫ রান করেছিলেন। সাদামাটা পারফরম্যান্সে হতাশ হয়েছিল ডেকান সমর্থকরা।
স্টুয়ার্ট বিনি
ঘরোয়া ক্রিকেট এবং আইপিএলে পরিচিত নাম স্টুয়ার্ট বিনি। ২০১৬ সালে নিলামে ২ কোটি টাকা দিয়ে স্টুয়ার্ট বিনিকে ঘরে তোলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার। কিন্তু ১৪টি ম্যাচে তার সংগৃহীত রান ছিল মাত্র ৬৩। একটি মাত্র উইকেট পেয়েছিলেন।
সৌরভ তেওয়ারি
২০১০ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে অসাধারণ খেলা ঝাড়খণ্ডের এই খেলোয়াড়কে ১৬ লাখ ডলারে দলে নিতে দ্বিতীয় বার ভাবেনি বেঙ্গালুরু। কিন্তু তাকে নেওয়া যে কত বড় ক্ষতি, তা মৌসুমের শেষে বুঝেছিল আরসিবি। দল ফাইনালে উঠলেও ১৬ ম্যাচে মাত্র ১৮৭ রান করেন সৌরভ।
দিনেশ কার্তিক
২০১৪ সালের নিলামে দিনেশ কার্তিককে প্রায় সাড়ে বারো কোটি টাকায় কেনে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। ১৪ ম্যাচে মাত্র ৩২৫ রান করেন কার্তিক। লিগের শেষ দল হিসাবে টুর্নামেন্ট শেষ করে দিল্লি।
মুরুগান অশ্বিন
এই অনামি স্পিনারকে সাড়ে ৪ কোটি টাকায় কেনে রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টস। মৌসুমে ওভার প্রতি প্রায় ৯ গড়ে মাত্র ৭ উইকেট নেন অশ্বিন।
এমআর/আরআইপি