‘ক্রিকেট না খেললে হয়তো আমি কুলিই হতাম’
তার বাবা দিন মুজুর। কুলির কাজ করেন। সেই বাবার ছেলে কোনোদিন কোটিপতি হয়ে যাবেন, স্বপ্নে এমন কল্পনা করাও যে অপরাধ! কিন্তু আইপিএলের কল্যাণে এখন সেটাই বাস্তব। থাঙ্গারাসু নটরাজন আইপিএলে এখন কোটিপতি। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ৩ কোটি রুপি দিয়ে কিনে নিয়েছে ২৫ বছর বয়সী এই বাম হাতি পেসারকে।
আইপিএলের নিলাম শেষে এখন তাকে নিয়ে ভারতজুড়ে চলছে হইচই। ইয়র্কার দিয়ে আলোচনায় আসা এই বাম হাতি পেসারের জীবনের গল্প এখন ভাইরাল। ভারতে ক্রিকেটাঙ্গনে ঘুরছে তার জীবন সংগ্রামের কথা।
জাতীয় দলে খেলার প্রশ্নই আসে না। খেলেছেন মাত্র ৯টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ। আর ঘরোয়া ক্রিকেটে ৫টি স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তবে নটরাজনের উঠে আসার গল্পের পেছনে রয়েছে তামিল নাড়ু প্রিমিয়ার লিগের অবদান। এই লিগেই এক ম্যাচে সুপার ওভারে পরপর ৬টি ইয়র্কার দিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন তিনি।
তবে, থাঙ্গারাসু নটরাজন তার জীবনে বদলে যাওয়ার গল্প বলতে গিয়ে ক্রিকেটকেই সর্বপ্রথম ধন্যবাদ জানালেন। বললেন, ‘আমি যদি ক্রিকেটার না হতাম তাহলে হয়তো কুলিই হতাম।’
আইপিএলের নিলাম শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নটরাজন বলেন, ‘আমি এখনও ভাবতেই পারছি না। আমার মাকে বলা মাত্র তো উনি কাঁদতে শুরু করে দিয়েছিলেন। বন্ধুরাও বলল, আজ ভাল কিছু খাওয়াতে হবে।’
বাম হাতি মিডিয়াম পেসার তিনি। ইয়র্কার দিতে ওস্তাদ। কিন্তু ক্রিকেটের এই উঠতি তারকা এক সময় ভেবেছিলেন বাবার মতোই তাকেও হয়তো কুলির কাজ করেই জীবন কাটাতে হবে হয়তো। ‘ক্রিকেটই আমাকে নতুন করে পথ দেখালো। আমি খুব গরীব ঘরের ছেলে। বাবা কুলি। মায়ের মুরগির মাংসের দোকান। আইপিএল তো দূরের কথা, রঞ্জি খেলতে পারব সেটাই এক সময় ভাবতে পারিনি,’- বললেন নটরাজন।
আইএইচএস/জেআইএম