কেন নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়া হলো ধোনিকে!
নিজে থেকেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। টেস্ট দলের নেতৃত্ব ছাড়ার প্রায় ২ বছর পর স্বেচ্ছায় ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি দলেরও অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন তিনি; কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, আইপিএলে রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্ট কর্তৃপক্ষ ধোনিকে নেতৃত্ব থেকেই সরিয়ে দিয়েছে। হঠাৎ পুনের এই সিদ্ধান্তে হতবাক পুরো ক্রিকেট মহল। ভারতীয় ক্রিকেট তো বটেই, পুরো ক্রিকেট বিশ্বে প্রশ্ন উঠেছে, কেন তাকে এভাবে সরিয়ে দেয়া হলো।
আইপিএল নিলামের আবহে সবথেকে বড় প্রশ্ন ছিল এটাই। যে ধোনি নিজে থেকেই টেস্ট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, একদিনের ক্রিকেট ও টোয়েন্টি ২০–র নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, তাঁকে পুণে ফ্র্যাঞ্চাইজি এভাবে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিল কেন? ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা বলেছেন, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজির স্বার্থেই এই সিদ্ধান্তটা নিতে হয়েছে।’
তবে ভেতর খবর জানা গেছে ভিন্ন তথ্য। নানা কারণে ধোনির উপর বিরক্ত ছিলেন ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তারা। তার অন্যতম কারণ হল, ফোনে ধোনিকে পাওয়া যেত না। সঞ্জীব গোয়েঙ্কা নিজেও বেশ কয়েকবার তার সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েও ফোনে ধরতে পারেননি। তিনি যে ধোনিকে ফোনে পেতেন না, একথা নিজেও এক সাক্ষাৎকারে মেনে নিয়েছেন। যিনি টাকা ঢালবেন, তিনিও যদি অধিনায়ককে ধরতে না পারেন, রাগ হওয়া স্বাভাবিক।
পুণে ফ্র্যাঞ্চাইজি সূত্রে জানা গেল, ধোনির সঙ্গে কোনও আলোচনাই করা যেত না। যা বলার তার এজেন্টকে বলতে হত। এটা মেনে নিতে পারেনি কর্মকর্তারা। মাঠের বাইরের নানা বিষয় নিয়ে ধোনি নিজের মতামত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। যেমন জার্সির রঙ কী হবে, লোগো কী হবে, ইত্যাদি। এই বিষয়টিকেও ভাল চোখে দেখেননি পুণের কর্তারা। তাদের দাবি ছিল, মাঠের ভেতরটা অধিনায়ক দেখবেন; কিন্তু বাইরের দিকটা দেখবেন ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তারা। বিভিন্ন ক্রিকেটারদের ব্যবহার করা নিয়েও ধোনির সঙ্গে কর্তাদের ভুল বোঝাবুঝি প্রকট হয়ে উঠেছিল।
কয়েকটি সূত্র দাবি করেছে, ইংল্যান্ড সিরিজ চলাকালীন ধোনি কলকাতায় এসে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার বাড়িতে যান। তখনই তাকে কিছুটা ইঙ্গিত দেওয়া হয় কেন তাকে নেতৃত্ব থেকে সরানো হতে পারে। পরে ধোনিকে বিস্তারিতভাবে বলেন পুণের এক কর্মকর্তা। ধোনি নাকি স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিয়েছেন। বলেছেন অধিনায়ক হিসেবে স্টিভেন স্মিথ ভাল বিকল্প। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে তার যা দায়িত্ব, তিনি পালন করবেন।
আইএইচএস/