১৫ মার্চ শততম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ
টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার ১৭ বছর পর এবার অন্যরকম এক সেঞ্চুরির সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। আগামী মার্চেই শ্রীলংকার বিপক্ষে নিজেদের ইতিহাসে শততম টেস্ট খেলবে টাইগাররা। ১৫ মার্চ থেকে কলম্বোয় স্বাগতিক শ্রীলংকার বিপক্ষে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের শততম টেস্ট ম্যাচটির।
বাংলাদেশের শ্রীলংকা সফরের সূচি ঘোষণা করা হয়েছে গতকাল রাতে। তাতেই দেখা যাচ্ছে সিরিজের দ্বিতীয় এবং বাংলাদেশের শততম টেস্ট ম্যাচটি শুরু হবে ১৫ মার্চে। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই সবার শেষে শততম টেস্ট ম্যাচটি খেলতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ৮ বছর আগে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া সত্ত্বেও জিম্বাবুয়ে শততম টেস্ট ম্যাচটি খেলেছে গত বছর নভেম্বরে। কাকতালীয়ভাবে তাদের শততম টেস্ট ম্যাচটিও ছিল শ্রীলংকার বিপক্ষে।
২০০০ সালে টেস্ট খেলার মর্যাদা লাভ করে বাংলাদেশ। এরপর নভেম্বরে ঢাকায় নিজেদের প্রথম টেস্টে ভারতের মোকাবেলা করে বাংলাদেশ। এরপর থেকে হাঁটি হাঁটি পা পা, ধীরে ধীরে এগিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের গণ্ডি। বেড়েছে ম্যাচ খেলার সংখ্যা। অবশেষে ১৭তম বছরে এসে দেখা পেলো সেঞ্চুরি ম্যাচের।
মোরাতুয়ায় শুরু হবে বাংলাদেশের শ্রীলংকা সফর। দু’দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে। এরপর গলে ৭ মাচ শুরু হবে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট। এরপর কলম্বোর পি সারা ওভালে শুরু হবে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচটির।
একটি প্রস্তুতি ম্যাচসহ ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে ২২ মার্চ থেকে। ডাম্বুলায় শুরু হবে প্রস্তুতি ম্যাচটি। একই মাঠে ২৫ এবং ২৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে প্রথম ও দ্বিতীয় ওয়ানডে। এরপর ১ এপ্রিল কলম্বোর আর প্রেমাদাসা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের শেষ ম্যাচটি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০১১ সালের পর কিন্তু প্রেমাদাসায় কোনো ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হয়নি।
প্রেমাদাসায় ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত না হওয়ার কারণ, এখানে দর্শক ধারণক্ষমতা খুবই কম। মাত্র ১০ হাজার। এ কারণে ২০১১ সালের পর থেকে এই ম্যাঠে কোনো ওয়ানডে ম্যাচ আয়োজন করেনি শ্রীলংকান কর্তৃপক্ষ। তবে এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে দর্শক খুব বেশি হবে না ভেবেই এই মাঠে ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। যাতে, ১০ হাজারের বেশি হয়তো দর্শক হওয়ার সম্ভাবনা নেই বাংলাদেশের বিপক্ষে এই ম্যাচে।
আইএইচএস/আরআইপি