ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

বৃষ্টিতে পণ্ড পেশোয়ার-কোয়েটা ম্যাচ

প্রকাশিত: ০৩:১৯ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে থেমে থেমে বৃষ্টি। তার ফাঁকে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের পেশোয়ার জালমি ১৬ ওভার ব্যাট করতে পেরেছে। তামিমের ফিফটিতে ভর করে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা পেশোয়ার ১৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান তুলেছিল। কিন্তু বৃষ্টির তাণ্ডবে হিসাব-নিকাশ পাল্টে যায়।

বৃষ্টি আইনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সের লক্ষ্যমাত্রা ১১৮ থেকে ১২৫ রান করা হয়েছিল। এরপর আবারও বৃষ্টির হানা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর সর্বশেষ ৬ ওভারে ৫৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয় কোয়েটার সামনে।

ব্যাটিংয়েও নেমেছিল কোয়েটার দুই ওপেনার। কিন্তু বৃষ্টি আর পিছু ছাড়লো না। কী আর করার! আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত নিলেন এই ম্যাচ আর মাঠে গড়ানো সম্ভব নয়। তাই বৃষ্টিতে শেষ পর্যন্ত পণ্ড হলো পেশোয়ার-কোয়েটা ম্যাচ।

এর আগে পেশোয়ার জালমির হয়ে মোহাম্মদ হাফিজের সঙ্গে ইনিংসের গোরাপত্তন করতে নামেন তামিম ইকবাল। জুলফিকর বাবরের করা প্রথম ওভারেই ১১ রান তুলে নেন তারা। মোহাম্মদ নওয়াজের করা দ্বিতীয় ওভারে মাত্র ৪ নিতে সক্ষম হন। তৃতীয় ওভারে ৪ রান। আর চতুর্থ ওভারে আসে ৭ রান।

এরপরই শুরু বৃষ্টির হানা। এভাবে দফায় দফায় বৃষ্টি নামলে ম্যাচের ওভার কমিয়ে আনা হয় ১৬ ওভারে। বৃষ্টির ফাঁকে ব্যাট করতে নেমে তিনটি উইকেট হারিয়ে ফেলে পেশোয়ার; খুব দ্রুতই। মোহাম্মদ হাফিজ দলীয় ৪১ রানে বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের শিকার হয়ে। হাফিজ করেন ১৬ রান।

এরপর দলের স্কোরশিটে আর মাত্র ১ রান যোগ হতেই নেই আরও দুই উইকেট। হাসান খানের কাছে পরাস্ত হয়ে কামরান আকমল সাজধরে ফেরেন রানের খাতা না খুলেই। ইয়ন মরগান থামেন ১ করেই। ইংলিশ ক্রিকেটার শিকার রিলে রুশোর।

তিন উইকেট হারানোর পর জালমি পড়ে যায় খাদের কিনারে। ঠিক তখনই শোয়েব মাকসুদকে সঙ্গে নিয়ে দলকে ভালো অবস্থানে নেয়ার চেষ্টা করেন তামিম। ১৫তম ওভারে জুলফিকর বাবরের বলে ছক্কা মেরেই ফিফটি পূর্ণ করেন বাংলাদেশি এই তারকা ব্যাটসম্যান। ৪১ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ফিফটি পূরণ করেন তামিম।

শেষ পর্যন্ত ৪৬ বলে চারটি করে চার ও ছক্কায় ৬২ রানে অপরাজিত ছিলেন তামিম। শোয়েব মাকসুদ ২৪ বলে দুটি চার ও একটি ছক্কায় ৩০ রানের হার না ইনিংস খেলেন।

৩ ওভারে ১৮ রান দিয়ে একটি উইকেট লাভ করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আর একটি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান খান ও রিলে রুশো।

এনইউ/এমএস

আরও পড়ুন