লড়াই করেই হারলো বাংলাদেশ
শেষ দিনের ভাঙাচোরা উইকেটে পুরো সময় উইকেটে কাটিয়ে দেয়া কঠিন কাজ। তারপরও আশা ছিল। সাকিব-মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক-সাব্বির এক জোড়া বড় জুটি গড়ে তুললে একটা সম্ভাবনা থাকতো। কিন্তু হায়, সোমবার সকালের প্রথম ঘণ্টায় সে সম্ভাবনার মৃত্যু। হোক তা প্রথম ইনিংসে, এই তো মাস খানেক আগে ওয়েলিংটনে অনভ্যস্ত ও প্রতিকূল কন্ডিশনে ৩৫৯ রানের বিশাল জুটির রেকর্ড গড়েছিলেন সাকিব-মুশফিক।
আজ শেষ দিন সকালে তাদের আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচ ভাগ্য গড়ে উঠেছিল। একা সলতে জ্বালিয়ে রেখেছিলেন মাহমুদুল্লাহ। লাঞ্চের আধ ঘণ্টা পর, এই মিডল অর্ডারে আউটের সঙ্গে সঙ্গে পরাজয় নিশ্চিত হয়েছিল। বোলাররা শেষ দিকে কিছুক্ষণ উইকেট আগলে রাখলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। চা-বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে ইনিংস শেষ হয়ে গেলো ২৫০ রানে। এরই সঙ্গে ২০৮ রানের হার হয়ে থাকলো সঙ্গী।
আগের দিনের ৩ উইকেটে ১০৩ রানে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। তবে দিনের শুরতেই দুর্ভাগ্যবশত সাজঘরে ফেরেন সাকিব আল হাসান (২২)। রবীন্দ্র জাদেজার অনেকটা লাফিয়ে উঠা বল গ্লাভসে লেগে শর্ট লেগে সহজ ক্যাচ তালুবন্দি করে তার ফেরা নিশ্চিত করেন চেতেশ্বর পুজারা।
সাকিবের বিদায়ের পর অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমকে নিয়ে দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ। ৫৬ রানে জুটি গড়ে আশা দেখাচ্ছিলেন এ দুই ব্যাটসম্যান। তবে দলীয় ১৬২ রানে হঠাৎই ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন মুশফিক (২৩)। অশ্বিনের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে জাদেজাকে মিডঅফে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান প্রথম ইনিংসে অসাধারণ ব্যাট করে সেঞ্চুরি তুলে নেয়া এ ব্যাটসম্যান।
অধিনায়ককে হারিয়ে সাব্বিরকে নিয়ে ৫১ রানের জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ। তবে ইশান্ত শর্মার বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পরে ফিরে যান সাব্বির (২২)। এরপর দ্রুতই ফিরে যান মাহমুদউল্লাহও। কার্যত তার বিদায়ের পর শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ম্যাচ বাঁচানোর আশা।
এরপর শেষ দিকে কিছুটা লড়াই করেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ (২২)। তবে জাদেজার আরও একটি লাফিয়ে ওঠা বলে উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহার হাতে ধরা পড়েন তিনি। এরপর শেষ দিকে কামরুল ইসলাম রাব্বি ৭০ বল মোকাবেলা করলে তা কেবল পরাজয়ের সময় বাড়িয়েছে।
অশ্বিনের বলে তাসকিনকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেই ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের উল্লাসে মাতে ভারত। ভারতের পক্ষে ৪টি করে উইকেট নেন অশ্বিন ও জাদেজা। এছাড়া ২টি উইকেট পান ইশান্ত শর্মা।
এমআর/এমএস