‘ভুল থেকে শিক্ষা নেবে সাকিব’
হায়দরাবাদ টেস্টে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ভারতের বিশাল রানের নিচে চাপা পড়েছে, কোহলি ডাবল সেঞ্চুরি করেছে, মুশফিক সেঞ্চুরি করেছে, কিংবা বাংলাদেশকে ফলোঅন করায়নি ভারত- এসবের চেয়েও বড় আলোচনার বিষয় ছিল সাকিবের ব্যাটিং স্টাইল।
ভালো ইনিংস খেলতে খেলতে হঠাৎই একটা বাজে শট খেলে বসলেন সাকিব। তাতে নিজের যেমন ক্ষতি হলো, তেমনি দলেরও ক্ষতি করে ফেলেন তিনি। সাকিব আউট হওয়ার পরেই যে দ্রুত শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। সাকিব যেন শেষ খুঁটি হিসেবে বাংলাদেশের ইনিংসটাকে ধরে রাখেন।
হায়দরাবাদ টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসেও একই ঘটনা। মুশফিকের সঙ্গে ১০৭ রানের জুটি গড়ার পর নিজেও যখন সেঞ্চুরির কাছাকাছি, তখন একটা বাজে শট খেলতে গিয়ে, বলতে গেলে উইকেটই বিলিয়ে দিয়ে আসলেন সাকিব। তৃতীয় দিন শেষে সাকিবকেই জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল এ সম্পর্কে। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, এটাই তার খেলার ধরন। এই ধরন তিনি পরিবর্তন করবেন না। তাহলে তো আর সাকিবই থাকবেন না তিনি।
চতুর্থদিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ থিলান সামারাভিরার কাছেও জানতে চাওয়া হয়েছিল সাকিবের ব্যাটিং স্টাইল সম্পর্কে। প্রশ্ন শুনেই তিনি উত্তর দিতে শুরু করলেন। বলছিলেন, ‘শট ঠিকমতো লাগাতে পারলে ভালো শট, না পারলে বাজে। আসলে এভাবে খেলেই সে…’ এটা বলেই হো হো করে হেসে উঠলেন তিনি। হাসতে হাসতে সামনে থাকা মাইক্রোফোনও ফেলে দিলেন। নিজেই সেই মাইক্রোফোন তুলে নিয়ে স্বাভাবিক হয়ে প্রশ্নটার জবাব দিলেন।
সেই হাসি থেকেই বললেন, ‘আসলে এভাবে খেলেই সে রান পেয়েছে। সফল হয়েছে। তবে কখনও কখনও চাপের মধ্যে আলগা হয়ে ভুল করে ফেলে। আশা করি, সে ভুল থেকে শিক্ষা নেবে।’
সাকিব এখনও টিকে রয়েছেন উইকেটে। ব্যাট হাতে রান করেছেন ২১। সাকিব যতক্ষণ উইকেটে থাকবে, ততক্ষণ ভারতের জেতার সম্ভাবনা কম। এ কারণে ভারতও চাইবে সাকিবের উইকেট দ্রুত তুলে নিতে। তা না পারলেও যতটা বিপদে ফেলা যায় সে চেষ্টা করবে তারা; কিন্তু সাকিব কী পারবেন, ভারতের অভিপ্রায় বুঝে ধীরস্থিরভাবে, ধৈর্য্যের সাথে ব্যাটিং করে যেতে। সাকিব টিকে থাকলেই তো বাংলাদেশের ভালো কিছু করার আশা থাকবে?
সংবাদ সম্মেলনে শেষে মঞ্চ থেকে নেমে আসার মুহূর্তে থিলান সামারাভিরাকে এক ভারতীয় সাংবাদিক বললেন, ‘সাকিবের বেশি বেশি যত্ন নিও। সে বাংলাদেশের বড় সম্পদ। সেরা ক্রিকেটার।’
আইএইচএস/এনইউ/জেআইএম