শ্রীলঙ্কা সফরেই নতুন ম্যানেজার!
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের এখন ম্যানেজার কে? এ বিষয়টা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধুম্রজাল। অফিসিয়ালি জাতীয় দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি এই দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি বিসিবি পরিচালক এবং নতুন দায়িত্ব দলের ম্যানেজার হিসেবে দ্বি-স্তর বিশিষ্ট নির্বাচক কমিটির সদস্য; কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, নিউজিল্যান্ড সফরে দলের সঙ্গে গেলেন না তিনি। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সরে দাঁড়ালেন। তার পরিবর্তে নিউজিল্যান্ডে দলের ম্যানেজার হিসেবে গিয়েছেন বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্সের ম্যানেজার সাব্বির খান।
একই ঘটনা এবার ভারত সফরেও। ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা খালেদ মাহমুদ সুজন আসেননি এই সফরে। ম্যানেজারকে ছাড়াই দল এসেছে ভারত সফরে। নিউজিল্যান্ড সিরিজের মতোই আপাতত কাজ সারার জন্য ম্যানেজার করে পাঠানো হয়েছে সাব্বির খানকে।
হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় বিসিবি প্রেসিডেন্টের কাছে জানতে চাওয়া হয়, শেষ দুটা সিরিজেই ক্রিকেট অপারেশন্স থেকে ম্যানেজার নিয়োগ দিতে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পেশাদার কোনো ম্যানেজার দল এখনও পাচ্ছে না। এটা নিয়ে কী চিন্তা করছেন? এটা কী এভাবে চলতে থাকবে? ক্রিকেট অপারেশন্সে যারা আছে তাদের দিয়েই লজিস্টিক বা অন্য সাপোর্টগুলো দেয়া হবে?
জবাবে পাপন বলেন, ‘নাহ, এটা এমন থাকবে না। এটা নিয়ে আমি কথা বলেছি। নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকেই আমরা দেখছি যে ম্যানেজার নেই। আগে যেমন ছিল খালেদ মাহমুদ সুজন। সে তো আসলে এই কাজে সেট হয়ে গিয়েছিল। এখন সুজন যাচ্ছে না। আমার ধারণা সে ব্যক্তিগত কারণেই নিউজিল্যান্ডে যেতে চায়নি। এখানেও নাই। এখন আমাদেরকে নতুন কাউকে খুঁজে বের করতে হবে।’
ইতোমধ্যেই এ নিয়ে আলোচনা করেছেন বলেন জানালেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমি ইতোমধ্যেই এটা নিয়ে কথা বলেছি। ম্যানেজারিয়াল কাজে দু’টা দিক। একটা হলো- অপারেশনাল কিছু কাজ করতে হয়। ওগুলোর জন্য ঠিক আছে, ক্রিকেট অপারেশন্স থেকে একজনকে নেয়া যায়। আরেকজনকে দরকার যিনি দলের অভিভাবকের মতো থাকবেন। কোচ এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে লিঁয়াজো মেন্টেন করবেন এবং আমাদের সাথে, অর্থাৎ বোর্ডের সাথে যোগাযোগ রাখবেন। না হলে দেখেন, এখানে আমি কার সাথে যোগাযোগ করবো। খেলার মাঝখানে আমি আগে সুজনকে ফোন করতাম। বিভিন্ন বিষয় জানতে চাইতাম; কিন্তু এখন তো কাউকেই পাচ্ছি না। ফোনও করতে পারছি না। এখন কোনো সুযোগও নেই। সুতরাং, সাধারণত আমরা সে ধরনের কাউকেই খুঁজছি। আপাতত বাইরে থেকে কাউকে যদি নাও পাই, তাহলে বোর্ড থেকেই কাউকে দায়িত্ব নিতে হবে এবং এটা অবশ্যই সিনিয়র কোনো সাবেক ক্রিকেটারকে হলেই সবচেয়ে ভালো হয়।’
তাহলে কি এখনকার বোর্ডে যারা আছেন, তাদের মধ্য থেকে কাউকে নিয়োগ দেবেন ম্যানেজার হিসেবে?
পাপন বলেন, ‘আপাতত তেমনই। যতদিন পর্যন্ত বাইরে থেকে পেশাদার কাউকে না পাই, ততদিন পর্যন্ত বোর্ডের ভেতর থেকেই কাউকে দায়িত্ব নিতে হবে। এর বাইরে এডমিনেস্ট্রেটিভ এবং লজিস্ট্রিক যে কাজগুলো রয়েছেন সে গুলোর জন্য, ক্রিকেট অপারেশন্স থেকে কাউকে নিলেও চলবে। তবে এর বাইরেও একটা কাজ আছে, যেটার জন্য একজনকে নিয়মিতই প্রতিটা সফরে সব সময় দলের সঙ্গে থাকতে হবে। যাদের কাজ হবে খেলোয়াড় এবং কোচের সঙ্গে যোগাযোগ করা এবং আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কিছু জানার থাকলে জানবে। মোট কথা- দলের অভিভাবক হিসেবে থাকবে।’
আইএইচএস/এনইউ/আরআইপি