এ কী করলেন মুশফিক?
ম্যাচের শেষ পরিণতি কী হবে তা সময়ই বলে দিবে। তবে হায়দরাবাদ টেস্টের শুরুর ওভারের পর থেকে যে শনির দশা শুরু হয়েছে তা এখনো কাটেনি। খারাপ সময়ে নাকি ভাগ্যও প্রতিকুলে থাকে। তার প্রমাণ ভারত অধিনায়ক কোহলির ১৮০ রানে প্রাণ ফিরে পাওয়া। অফ স্পিনার মিরাজের বলে পরাস্ত কোহলিকে এলবিডব্লিউ দেন অ্যাম্পায়ার। কিন্তু পরে ডিআরএসে দেখা যায় বল বেশি টার্ন করে লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে বের হয়ে যাচ্ছিল।
কোহলির জীবন পাবার ঠিক পরের ওভারে আবার ভাগ্য বিপর্যয় বাংলাদশের। এবার অধিনায়ক মুশফিকের ব্যর্থতায় বেঁচে যান ভারত উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুলের ফ্লাইটেড ডেলিভারি এগিয়ে খেলতে গিয়ে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি ভারত উইকেটরক্ষক। ক্রিজ ছেড়ে এক গজ সামনে বেরিয়ে যাওয়া ঋদ্ধিমানকে অসহায় অবস্থায় পেয়েও স্টাম্পিংয়ের সহজ সুযোগ হাত ছাড়া করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। প্রথম প্রচেষ্টায় স্টাম্পেই লাগাতে পারেননি মুশফিকুর রহিম, পরের চেষ্টায় যখন বেলস ফেললেন ততক্ষণে নিরাপদে ফিরে আসেন ঋদ্ধিমান। লাঞ্চের আগের আরও একটি সুবর্ণ সুযোগ হয় হাতছাড়া।
এমনিতেই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলা যাচ্ছিল না। তার উপর প্রথম দিন থেকে ক্যাচ মিস, দুই ব্যাটসম্যান পিচের মাঝখানে দাঁড়িয়ে যাওয়ার পরও রান আউটের সহজ সুযোগ হাতছাড়া আর সব শেষে ঋদ্ধিমান সাহার স্ট্যাম্পিংয়ের সুযোগ নষ্ট - তার চড়া মাশুল গুণতে হবে মুশফিকবাহিনীকে।
এদিকে আগের দিনের ৩৫৬ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে ওয়ানডে মেজাজে খেলতে থেকে কোহলি-রাহানে। দুর্দান্ত সব শট খেলে ১৫০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন কোহলি। নিজের অর্ধশতও তুলে নেন রাহানে। নিজের ব্যক্তিগত ৬২ রানে কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে কাট করে সীমানায় ক্যাচ দেওয়া অজিঙ্কা রাহানেকে জীবন দেন দেশের সেরা ফিল্ডার সাব্বির। তবে দ্বিতীয়বার আর হয়নি। তাইজুল ইসলামের খানিকটা টার্ন ও বাউন্স থাকা বলে শর্ট কাভারে মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চ পর্যন্ত ভারতের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৬৬ রান।
এর আগে মুরালি বিজয় ও কোহলির সেঞ্চুরির সঙ্গে পূজারার হাফসেঞ্চুরির উপর ভর করে প্রথম দিনে ৩ উইকেটে ৩৫৬ রানের সংগ্রহ করে শক্তিশালী ভারত।
এআরবি/এমআর/এমএস