‘বোলারদের আরও বেশি দায়িত্ববান হওয়া উচিত’
টেস্ট ম্যাচ জিততে শুধু ব্যাটসম্যানদের রান করলেই হয় না, বোলারদেরও ভালো বোলিং করতে হয়। কোনো দলের বোলাররা যদি প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নেয়ার ক্ষমতা না রাখে, তাহলে সেই দল কোনোভাবেই পারে না ভালো করতে। ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ কেমন হবে; এ নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। ফিটনেসের অভাবের কারণে এই সিরিজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ফর্ম নেই বলে অভিজ্ঞ পেসার রুবেলকে দলেই রাখা হলো না। অভিজ্ঞ হলেও অনিয়মিত শফিউল ইসলামকে হায়দরাবাদে উড়িয়ে আনা হয়েছিল, কিন্তু একাদশে সুযোগ পাননি তিনি। পেসার হিসেবে ছিলেন তরুণ শুভাশিষ রায়। তিনিও দলের বাইরে।
আগের দিন হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামের উইকেট দেখেই হয়তো একজন বাড়তি স্পিনার খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। সে কারণে আজ একাদশে দেখা গেলো তাইজুল ইসলামকে। সঙ্গে নিয়মিত অফ স্পিনার হয়ে ওঠা মেহেদী হাসান মিরাজ তো আছেনই। অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান রয়েছেন দলে। এই তিন স্পিন স্পেশালিস্টের সঙ্গে দুই পেসার তাসকিন আহমেদ এবং কামরুল ইসলাম রাব্বিকে রাখা হলো ভারতের বিপক্ষে এই টেস্টের দলে।
দুই পেসারের সম্মিলিত অভিজ্ঞতা মোটে ৬ টেস্ট। ভারতের মতো টেস্টে বিশ্বসেরা দল এবং সেরা ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে এই বোলিং লাইনআপ দিয়ে কত দূর যাবে বাংলাদেশ, সেটাই ছিল দেখার বিষয়; কিন্তু দিনের শুরুতে তাসকিন আহমেদের ওই একটি স্পেল ছাড়া পুরো দিন আর মনে রাখার মত কোনো বোলিংই করতে পারলো না বাংলাদেশ। বোলাররা একের পর এক শট বল, হাফ ভলি দিয়ে গেছেন আর ভারতের ব্যাটসম্যানরা একের পর এক রান তোলার উৎসবে মেতেছে। সেঞ্চুরি করে ফিরেছেন মুরালি বিজয়। সেঞ্চুরি করে এখনও উইকেটে রয়েছেন বিরাট কোহলি।
দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশ দলের পেসার তাসকিন আহমেদ বললেন, ‘আমাদের বোলারদের আরও দায়িত্ববান হওয়া উচিত। একটা বিষয় বোঝা গিয়েছে, কোনোভাবেই লুজ বল দেয়া যাবে না। লুজ বল দিলেই পিটুনি খাচ্ছে, সেখানে গুড লেন্থে ধারাবাহিক ভালো বল করে যাওয়ার কোনো বিকল্প নেই।’
তাসকিন বলেন, ‘আসলে এ ধরনের উইকেটগুলোতে বোলারদের আরও বেশি দায়িত্ববান হওয়া উচিত। কারণ এখানে বোলারদের বল খেলা খুব সহজ। এ কারণে আপনি কোনোভাবেই লুজ ডেলিভারি দিতে পারবেন না। বোলারদের অপেক্ষা করতে হবে কখন ব্যাটসম্যান ভুল করে। তাহলে তখন তিনি উইকেট নেবেন।’
প্রথম এক ঘণ্টা ভালো বোলিং করার পর যখন উইকেট থেকে আর কোনো সহযোগিতা পাচ্ছিল না বাংলাদেশের বোলোররা তখন ভিন্ন কোনো পরিকল্পনা ছিল কি না? জানতে চাওয়া হলে তাসকিন বলেন, ‘আমাদের তো অবশ্যই প্ল্যান ছিল; কিন্তু তারা অনেক ভালো ব্যাট করেছে। তবে এর আগেও একবার আমি বলেছি, অবশ্যই বোলারদের আরও দায়িত্ববান হতে হবে। আপনার যে কোনো প্ল্যানই থাকতে পারে। যদি কোনো প্ল্যানই কাজে লাগাতে না পারেন, তাহলে তো লাভ নেই। আপনি যদি শট, ওয়াইড কিংবা হাফ ভলি দেয়ার প্ল্যান করেন, তাহলে সেটা সঠিক জায়গাতেই দিতে হবে। আমাদেরকে অবশ্যই লাইন অ্যান্ড লেন্থ বজায় রেখে ধারাবাহিক বল করে যেতে হবে। তাহলে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।’
আইএইচএস/এনইউ/পিআর