দীর্ঘ বিরতির পর জাতীয় যুব ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ
সর্বশেষ আয়োজন ছিল ২০০৭ সালে। গত ১০ বছর জাতীয় যুব চ্যাম্পিয়নশিপ ছিল ফাইলবন্দি। দীর্ঘ প্রতিক্ষীত এ চ্যাম্পিয়শিপ আবার মাঠে গড়াচ্ছে ৯ মার্চ। থাকছে অনেক নতুনত্ব নিয়ে। অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের পরিচয়টা ছিল আসলে সোহরাওয়ার্দি কাপ হিসেবে। এ টুর্নামেন্টের নামের আগে এখন থাকছে না এ জাতীয় নেতার নাম। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের বয়সের সীমাও কমিয়ে আনা হয়েছে। এক সময়ের নিয়মিত এ টুর্নামেন্ট নতুন করে শুরু হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৮ জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ নামে।
বেশির ভাগ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ হয়ে থাকে দায়সারাভাবে। জেলা ও সংস্থাগুলো কোনোভাবে জোরাতালি দিয়ে দল তৈরি করে অংশ নেয়। টুর্নামেন্ট নকআউট পদ্ধতিতে করায় এক ম্যাচ খেলেই ঘরে ফিরে যায় বেশিরভাগ দল। নামকাওয়াস্তে টুর্নামেন্ট শেষ করে তৃপ্তির ঢেকুর তোলেন আয়োজকরা। চিরায়িত সে ধারা থেকে একটু বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে বাফুফে। এই প্রথম বাফুফের দুটি স্ট্যান্ডিং কমিটির সমন্বয়ে হচ্ছে টুর্নামেন্ট। মূল আয়োজক টুর্নামেন্টে কমিটিকে সহায়তা করছে ডেভেলপমেন্ট কমিটি।
এসব করতে গিয়ে বাফুফের ঘোষিত বর্ষপঞ্জিতে থাকা দিনক্ষণ ঠিক রাখতে পারেনি বাফুফে। টুর্নামেন্ট উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাফুফের ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান বাদল রায় বলেছেন,‘একটু দেরিতে হলেও আমরা এ টুর্নামেন্টটা একটু কার্যকরভাবে আয়োজন করতে চাই।’
বয়স ভিত্তিক টুর্নামেন্ট মানেই বয়স নিয়ে বিতর্ক। এটা শতভাগ দূর করতে না পারলেও বাফুফে এবার এ ইস্যুতে কঠোর। কারণ এ টুর্নামেন্ট থেকে খেলোয়াড় বাছাই করে তৈরি করা হবে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের দল। এখানে ঘাপলা থাকলে পড়ে বাফুফেকেই যে বিপদে পড়তে হবে।
টুর্নামেন্ট শুরুর ঠিক একমাস আগে বাফুফে দলগুলোর খেলোয়াড়দের বয়স নির্ধারণ কাজ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ দিয়ে শুরু হয়েছে বয়স নির্ধারণ কাজ। ‘পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে আমরা নারায়নগঞ্জ থেকে এ কাজটি শুরু করেছি। বাফুফের কোচরা সেখানে গিয়ে ৩০ জন খেলোয়াড়ের বয়স নির্ধারণ করে দিয়েছে। এ চ্যাম্পিয়নশিপে ওই জেলার দল হতে হবে ওই ৩০ ফুটবলারের মধ্যে থেকে। সব দলগুলোকেই এভাবে বয়স দেখে ৩০ ফুটবলার নির্ধারিত করে দেয়া হবে। ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বয়স নির্ধারণ পর্ব শেষ হবে। তারপর ৬/৭ দিন অনুশীলন করানো হবে দলগুলোকে’-বলেছেন বাদল রায়।
৬৪ জেলার পাশাপাশি এ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাফুফের নিবন্ধিত বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা বোর্ডসহ অন্যান্য সংস্থাসমূহকে। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ৬০ জেলা খেলার নিশ্চয়তা দিয়েছে।
টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মহি বলেছেন, ‘৯ মার্চ প্রাথমিক ও ২৩ মার্চ চূড়ান্ত পর্ব শুরু হবে। তবে ভেন্যু এখনো ঠিক হয়নি। টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল ১ লাখ টাকা ও রানার্সআপ ৫০ হাজার টাকা প্রাইজমানি পাবে। পুরো টুর্নামেন্টের বাজেট প্রায় ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে থেকেই দলগুলোকে ৪৫ হাজার টাকা করে দেয়া হবে প্রস্তুতির জন্য।’
আরআই/এনইউ/পিআর