ড্রয়ে নিষ্পত্তি প্রস্তুতি ম্যাচ

হায়দারাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচ। তার আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেয়ার দারুণ সুযোগ পায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ, দুই দিনের। ফল আসার সম্ভাবনা খুব একটা ছিল না। হলো ঠিক তা-ই।

হায়দরাবাদের জিমখানা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয় দল ও ভারত ‘এ’ দলের মধ্যকার প্রস্তুতি ম্যাচটিতে কেউ জেতিনি; নিষ্পত্তি হয়েছে নিষ্প্রাণ ড্রয়ে। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ২২৪ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। জবাবে ৮ উইকেটে ৪৬১ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে ভারত।

নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছে মাত্র ১৫ ওভার। ৭৩ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। তখনই ম্যাচের সমাপ্তি ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। তামিম ইকবাল ৫৪ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন।

ইমরুল কায়েস ইনজুরিতে (উরুতে চোট) পড়লে তামিম ইকবালের সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন সৌম্য সরকার। প্রথম ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করা সৌম্য দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন ২৫ রান। মুমিনুল হক খুলতে পারেননি রানের খাতাই। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এর আগে ১ উইকেটে ৯১ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে ভারত ‘এ’ দল। পাঞ্চল ৪০ আর আয়ার ২৯ রান নিয়ে আজ ব্যাট করতে নামেন। দুজনই তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। ১১৮ বলে ১১টি চার ও একটি ছক্কায় ১০৩ রান করেছেন পাঞ্চল। ৯২ বলে ১২টি ও চারটি ছক্কায় ১০০ রান নামের পাশে যোগ করেন আয়ার।


মিডল অর্ডারের তিন চার ব্যাটসম্যান তেমন সুবিধা করতে পারেননি। তবে আটে ব্যাট করতে নামা বিজয় শঙ্কর তুলে নিয়েছেন শতক। ঝড়ো শতকই। ৮১ বলে ১৪টি চার ও তিনটি ছক্কায় ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন। বিজয় শঙ্করের সেঞ্চুরি পূর্ণ হতেই ইনিংস ঘোষণা করে ভারত ‘এ’ দল। নিতিন শাইনি করেন ৬৬ রান।

বাংলাদেশের পক্ষে উইকেট শিকার করেছেন দুজন বোলার; শুভাশিস রায় ও তাউজুল ইসলাম। ১৬ ওভারে একটি মেডনসহ ৫৭ রান দিয়ে তিন উইকেট দখলে নেন শুভাশিস। আর তাইজুল ২৮ ওভারে ৩টি মেডেনসহ ১৪১ রান খরচায় লাভ করেছেন তিন উইকেট।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন মুশফিকুর রহীম। সৌম্য সরকার খেলেন ৫২ রানের ইনিংস। ৩৩ রান আসে সাব্বির রহমানের ব্যাট থেকে। সমান ২৩ রান করে নামের পাশে যোগ করেন লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

এনইউ/জেআইএম