আশা জাগিয়েও হেরে গেলো অস্ট্রেলিয়া
২৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৬৭ রানেই নেই প্রথম সারির ৬ উইকেট। এরপর মারকাস স্টোইনিসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির উপর ভর করে পৌঁছে গিয়েছিল জয়ের দ্বার প্রান্তে। তবে তীরে এসে তরী ডুবলো। ২৮০ রানেই শেষ হয়ে গেলো অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। আর এতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৬ রানের স্বস্তির জয় পায় স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।
অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। দলীয় ১৩ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন ল্যাথাম। এরপর কিউই দলপতি কেন উইলিয়ামসনকে সঙ্গে নিয়ে ৭০ রানের জুটি গড়েন গাপটিল। দ্রুত ২৪ রান করা উইলিয়ামসন আর রস টেইলকে (১৬) ফিরিয়ে খেলায় ফেরে অস্ট্রেলিয়া।
এ দুই জনের বিদায়ের পর ৬১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার গাপটিল। কলিন মুনরো ২ রানে বিদায় নিলে চাপে পড়ে কিউইরা। এদের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন নেইল ব্রুম ও জেমস নিশাম। কিউইদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৩ রান আসে নেইল ব্রুমের ব্যাট থেকে। আর নিশাম ৪৫ বলে করেন ৪৮ রান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি উইকেট নেন মার্কাস স্টোইনিস। দুটি উইকেট পান প্যাট কামিন্স।
নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২৮৭ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে অজিদের টপঅর্ডার ভালো করতে পারেনি। অজিদের দলপতি ও ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চের ব্যাট থেকে আসে ৪ রান। আরেক ওপেনার ট্রাভিস হেড করেন ৫ রান। তিন নম্বরে নামা শন মার্শের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান। ৭ রান করেন হ্যান্ডসকম্ব, ২০ রান করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
দলীয় ৬৭ রানের মাথায় অজিরা ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে। এরপর জুটি গড়েন স্টোইনিস এবং জেমস ফকনার। এই জুটি থেকে আসে ৮১ রান। দলীয় ১৪৮ রানের মাথায় বিদায় নেন ফকনার। আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ২৫ রান। আরেক প্রান্ত আগলে রেখে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হাকান স্টোইনিস।
এরপর প্যাট কামিন্সের সঙ্গে জুটি গড়ে ৪৮ আর মিচেল স্টার্কের সঙ্গে ৩০ রানের জুটি গড়েন স্টোইনিস। আর জস হ্যাজেলউডের সঙ্গে শেষ উইকেট জুটিতে ৫৪ রান করেন। কোনো বল না খেলেই রানআউট হন হ্যাজেলউড। ফলে ৬ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় সফরকারীদের। ১৪৬ রান করে অপরাজিত থাকেন স্টোইনিস। নিউজিল্যান্ডের হয়ে তিনটি উইকেট দখল করেন মিচেল স্যান্টনার। দুটি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট এবং ফার্গুসন।
এমআর/আরআইপি