হারেই অস্ট্রেলিয়া সফর শেষ পাকিস্তানের
শুরু আর শেষে দারুণ মিল! অস্ট্রেলিয়া সফরে পাকিস্তানের শুরুটা হয়েছিল হার দিয়ে। আর সফরের শেষটাতেও হলো একটি পরিণতি। অর্থাৎ পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৫৭ রানে পরাজিত হয়েছে আজহার আলির দল।
অ্যাডিলেড ওভারে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৬৯ রান দলের স্কোরশিটে জমা করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৪৯.১ ওভার খেলা পাকিস্তানের ইনিংস থামে ৩১২ রানে।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। দলীয় ১০ রানের মাথায় অধিনায়ক আজহার আলিকে হারিয়ে ফেলে তারা। মাত্র ৬ রান করতেই মিচেল স্টার্কের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি।
এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৩০ রানের জুটি গড়ে দলকে সঠিক পথেই রেখেছিলেন শারজিল খান ও বাবর আজম। ৭৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন শারজিল। আর সেঞ্চুরি তুলে নেন বাবর আজম। জস হ্যাজেলউডের শিকার তিনি। ১০৯ বলে ৭টি চার ও একটি ছক্কায় ১০০ রান আসে বাবরের ব্যাট থেকে। উমর আকমল করেন ৪৬ রান।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে চার উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। ২টি উইকেট লাভ করেন প্যাট কামিন্স। একটি করে উইকেট নিয়েছেন জস হ্যাজেলউড, অ্যাডাম জাম্পা ও জেমস ফকনার।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ আমিরের প্রথম বলেই দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দেন ওয়ার্নার। তবে তা ফেলে দেন অধিনায়ক আজহার আলী। দিনের শুরুতেই পাওয়া এমন সুযোগ হাতছাড়া করেননি ওয়ার্নার। ১১ চার, দুই ছয়ে ৭৮ বলে সেঞ্চুরি করে যখন ব্যাট ওঠালেন, ইতিহাসে নাম লিখিয়ে ফেলেছেন এই ওপেনার। ব্যক্তিগত দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা নতুন করে লেখালেন।
এ মৌসুমে ওয়ানডেতে এটা তার ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। ২০১৪-১৫ মৌসুমে ছয় সেঞ্চুরিতে এত দিন এককভাবে রেকর্ডটি ছিল কুমার সাঙ্গাকারার। আজকের পরে নিউজিল্যান্ডেও তিনটি ওয়ানডে খেলবেন ওয়ার্নার। রেকর্ডটি শুধুই নিজের করে নিতে পারেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার।
সেঞ্চুরির পরও এগিয়ে যাচ্ছেন ওয়ার্নার। ওয়ার্নারের সামনে হাতছানি প্রথম অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরি করার। তবে ১৭৯ রানে শেষ হয় তার ইনিংস। জুনায়েদ খানের বলে বাবর আজমকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। সাজঘরে ফেরার আগে ট্রেভিস হেডকে সঙ্গে নিয়ে প্রথম উইকেটে জুটিতে করেন ২৮৪ রান। আর মাত্র ২ রান করতে পারলেই নতুন রেকর্ড হতো এই জুটির।
এদিকে ওয়ার্নারের বিদায়ের পর দ্রুত বিদায় নেন অধিনায়ক স্মিথ (৪)। এরপর নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন হেড। হাসান আলির বলে সাজঘরে ফেরাড় আগে তার বাট থেকে আসে ১২৮ রান। আর শেষ দিকে ফকনার ১২ বলে ১৮ করলে ৩৬৯ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা। পাকিস্তানের পক্ষে হাসান আলি ও জুনায়েদ খান নেন দুটি করে উইকেট।
এনইউ/পিআর