রিমান্ড শেষে আদালতে আরাফাত সানি
তথ্য-প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানিকে একদিনের রিমান্ড শেষে আদালতের হাজতখানায় হাজির করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা থেকে বেলা ১টা ৪০ মিনিটে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় হাজির করে পুলিশ। এদিন তদন্ত কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে নতুন করে কোনো রিমান্ড আবেদন করেননি।
এর আগে গত রোববার আরাফাত সানিকে ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার আইও মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইয়াহিয়া। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম প্রণব কুমার হুই একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত রোববার সকালে তাকে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
ওইদিন এক সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার জানান, গত ৫ জানুয়ারি নাসরিন সুলতানা নামে এক তরুণী আরাফাত সানির বিরুদ্ধে তথ্য-প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা করেন। নাসরিনের দাবি, সানির সঙ্গে তার বৈবাহিক সম্পর্ক রয়েছে। আরাফাত সানির মাধ্যমে তাদের অন্তরঙ্গ কিছু ছবি বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিসি বিপ্লব কুমার আরও জানান, ৫ জানুয়ারি মামলার পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে সানির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। এরপর রোববার (২২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আমিনবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে আরাফাত সানির মায়ের দাবি, তার ছেলেকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে ডিসি বিপ্লব কুমারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, বাদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসতেই পারে। বিষয়টি আমলে নিয়ে আমরা তদন্ত করে দেখবো।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, আরাফাত সানির সঙ্গে নাসরিন সুলতানার ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর বিয়ে হয়। গত বছরের ১২ জুন আরাফাত দুজনের ব্যক্তিগত ও নাসরিনের কিছু আপত্তিকর ছবি ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে পাঠান। ছবি পাঠিয়ে আরাফাত সানি নাসরিনকে হুমকি দেন। এরপর গত ২৫ নভেম্বর ওই তরুণীকে ফের আপত্তিকর ছবি পাঠিয়ে হুমকি দেন আরাফাত সানি।
এ ঘটনায় নাসরিন সুলতানা বাদী হয়ে গত ৫ জানুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় তথ্য-প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
জেএ/এমএমজেড/এমএস