‘ওয়ানডেতে কঠিন বাংলাদেশ, টেস্টে সময় লাগবে’
ঘরের মাঠে টানা ৬টি সিরিজ জয়ের পর অবশেষে ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে গিয়ে হয়তো তিন ম্যাচেই হেরেছে টাইগাররা; কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়ে তুলেছিল অন্তত দুটি ম্যাচে। একটিতে তো জয়ের সম্ভাবনাই জাগিয়ে তুলেছিল মাশরাফি অ্যান্ড কোং। টি-টোয়েন্টিতে হারলেও বাংলাদেশ প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়ে তুলেছিল।
মাঠে বসেই খুব কাছ থেকে বাংলাদেশকে পর্যবেক্ষণ করেছেন নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তী স্যার রিচার্ড হ্যাডলি। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে যেখানে ভারত, পাকিস্তান কিংবা শ্রীলংকার মত দলগুলো গিয়ে একের পর এক নাস্তানাবুধ হয়ে আসে সেখানে তো অন্তত কিছু ম্যাচে প্রতিকদ্বন্দ্বীতা করতে পেরেছে বাংলাদেশ!
রিচার্ড হ্যাডলির চোখে এটাই বাংলাদেশের উন্নতি। তিনি মনে করেন, সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। বাংলাদেশ অনেক কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে টেস্ট ক্রিকেটে এগুতে হলে বাংলাদেশকে আরও অনেক দুর অতিক্রম করতে হবে।
ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালের প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশের একঝাঁক সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপ করতে গিয়ে তার কণ্ঠে শোনা গেলো বাংলাদেশের উচ্চসিত প্রশংসা। তিনি বলেন, ‘ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বী। ৫০ ওভার এবং ২০ ওভারের ম্যাচে তাদেরকে খুব কমস ম্যাচেই হারাতে পারবেন হয়তো।’
এ পর্যায়ে এসে আসল সত্যটা তুলে ধরলেন হ্যাডলি। তিনি মনে করিয়ে দিলেন ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি থেকে টেস্ট ভিন্ন খেলা, ভিন্ন ফরম্যাট। হ্যাডলি বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট অন্য ফরম্যাটগুরোর চেয়ে একটু ভিন্ন।’
ভিন্ন এই ফরম্যাটে এখনও শিখছে বাংলাদেশ। কিউই কিংবদন্তী নিজের চোখে দেখেছেন ওয়েলিংটন টেস্টে বাংলাদেশকে। তিনি ধরতে পেরেছেন বাংলাদেশ সেখানে কী কী ভুল করেছে এবং এখনও যে বাংলাদেশের অনেক শেখার বাকি, সেটা জানিয়ে দিলেন।
হ্যাডলি বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশ সর্বশেষ ওয়েলিংটন টেস্ট থেকে অনেক ভালো শিক্ষা নিতে পেরেছে। ম্যাচটিকে তারা পঞ্চম দিন পর্যন্ত নিয়ে যেতে পেরেছিলো। ওই দিন, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যাসরা হয়তো চোখে ভালো করে বল দেখছিল না। দ্বিতীয় ইনিংসে শট সিলেকশনে ছিল অনেক ভুল। এসব কারণে নিউজিল্যান্ডের সামনে জয়ের রাস্তাটা তারা নিজেরাই খুলে দিয়েছে।’
আইএইচএস/পিআর