বাংলাদেশের নবম টেস্ট অধিনায়ক তামিম
সেই নভেম্বর ২০০০ সাল থেকে শুরু। এরপর একে একে ৯৬টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ফেলেছে টাইগাররা। আর এর মধ্যে অধিনায়কত্বের বদল হয়েছে মোট আটবার। ৯৭তম ম্যাচে মাঠে নামার আগে নতুন অধিনায়ক পেলো বাংলাদেশ। ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে অধিনায়কত্ব করছেন ড্যাসিং ওপেনার তামিম ইকবাল খান।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের নবম টেস্ট অধিনায়ক তামিম। মূলত নিয়মিত অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ইনজুরির কারণে অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পান তিনি। ওয়েলিংটন টেস্টে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করার সময় আঙুলে চোট পান মুশফিক। সে চোট সারিয়ে উঠতে না উঠতে দ্বিতীয় ইনিংসে টিম সাউদির বাউন্সার হেলমেটে লেগে আবার ইনজুরিতে পড়েন তিনি। ফলে চার সপ্তাহের জন্য বিশ্রামে আছেন তিনি।
শুধু টেস্ট নয় ক্যারিয়ারের প্রথমবারের মতো কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অধিনায়কত্বের শুরুটা ভালো হচ্ছে না তামিমের। দলের প্রথম সারির চার-পাঁচজন খেলোয়াড়কে হারিয়ে রীতিমতো দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে মাঠে নামতে হচ্ছে তাকে। নিউজিল্যান্ড সিরিজে যাওয়ার আগেই ইনজুরিতে পড়েন টেস্ট স্পেশালিস্ট বোলার মোহাম্মদ শহীদ। এরপর ফর্মে থাকা শফিউলকেও হারায় তারা। নিউজিল্যান্ডে গিয়ে ইনজুরিতে পড়েন মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর একই কারণে দলের অন্যতম প্রধান তিন ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম, ইমরুল কায়েস ও মুমিনুল হককেও হারান।
তবে তামিম এসব নিয়ে চিন্তিত নন। এমনকি হঠাৎ পাওয়া অধিনায়কত্বের চাপ নেই তার কাছে, ‘আমি মোটেই চাপে নেই। আমাকে যখন সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে, তখন থেকেই একটা মানসিক প্রস্তুতি ছিল। আমি জানি, বুঝি কোনো কারণে এক ছোট সময়ের জন্য হলেও অধিনায়কের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দিতে হবে। তাই মানসিক প্রস্তুতি সব সময়ই ছিল। কাজেই বাড়তি চাপ অনুভব বা বোধ করা কিছুই নেই।’
এদিকে তামিমের অধিনাকত্বের অভিষেকের দিন টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে দুই তরুণের। মুশফিকের ইনজুরিতে নুরুল হাসান সোহানের অভিষেক অনেকটা অনুমিতই ছিল। উইকেট কিপিং গ্লাভসের দায়িত্ব থাকছে এ তরুণের হাতে। তবে মুমিনুলের ইনজুরিতে দলে বাড়তি কোনো ব্যাটসম্যান না থাকায় অভিষেক হয় নাজমুল হোসেন শান্তর।
আরটি/বিএ