দ্বিতীয় টেস্টে নেই মুশফিক!
খালি চোখে তাকে দেখতে বেশ ভালোই মনে হচ্ছে। আর দশটা সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষের মতোই। শুধু যে দেখে মনে হচ্ছে- তা নয়। আসলেও ২৪ ঘণ্টা আগে কিউই ফাস্ট বোলার টিম সাউদির বল হেলমেটের ওপর দিয়ে মাথায় ব্যথা পেয়ে হাসপাাতালে যাওয়া বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক এখন প্রায় সুস্থ। কোনোই সমস্যা নেই।
কিন্তু তারপরও কথা থেকেই যাচ্ছে। খুব সম্ভবত দ্বিতীয় টেস্ট খেলা হচ্ছে না মুশফিকুর রহীমের। ফিজিও ডিন কনওয়ের কণ্ঠে অমন আভাস। গতকাল সোমবার রাতে টিম হোটেলে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সাথে আলাপের এক পর্যায়ে মুশফিকের দ্বিতীয় টেস্ট খেলা নিয়ে সংশয় ব্যক্ত করেন টিম বাংলাদেশের ফিজিও।
মুশফিক দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে পারবেন না। কিংবা অধিনায়কের ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে মাঠে নামা হচ্ছে না- মুখ ফুটে সরাসরি এমন কথা না বললেও ডিন কনওয়ে যা বলেছেন, তার সারমর্ম হলো; মুশফিককে অন্তত চার সপ্তাহ মাঠে না নামার পরামর্শ আছে চিকিৎসকদের।
প্রসঙ্গত, সাউদির বলে হেলমেটের ওপর দিয়ে মাথার পেছনে ঘাড়ের একটা অংশে ব্যথা পেয়ে মুশফিককে যখন ওয়েলিংটন সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তার মাথার পেছনে ও ঘাড়ের একাংশে এক্স-রে করে কিছু না পেয়ে মুশফিককে ছুটি দিয়ে দেন।
কিন্তু সাথে যাওয়া ফিজিও কনওয়েকে কিছু প্রয়োজনীয় পরমর্শ ও নিয়ম মেনে চলার কথা জানান ওয়েলিংটন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। সেখানে নাকি মুশফিককে অন্তত ৪ সপ্তাহ না খেলে বিশ্রামে থাকার সুপারিশ আছে।
চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, আঘাত গুরুতর না হলেও মাথার ওপর দিয়ে যে ধকলটা গেছে, তা কাটাতে তার পর্যাপ্ত বিশ্রাম প্রয়োজন। এখন ৫ দিনের টেস্ট খেললে তো আর ওই বিশ্রাম মিলবে না।
তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনেই মুশফিককে পরের টেস্টে বিশ্রামে রাখার কথা ভাবা ছাড়া পথ নেই। ওদিকে আবার আগামী মাসের ৯ তারিখে হায়দরাবাদে ভারতে সাথে এক টেস্টের সিরিজ। তারপর আবার মার্চে শ্রীলঙ্কা সফর।
সব মিলে টানা খেলা। বিশ্রামের সুযোগ বেশ কম। তাই এখন মুশফিককে খেলানোর অর্থ হলো বাড়তি ঝুঁকি নেয়া। যতদূর জানা গেছে, এই মুহূর্তে টিম ম্যানেজমেন্ট সে ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না। তাই ধরেই নেয়া যায়, ওয়ানডে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ এবং টি-টোয়েন্টি পুরো সিরিজের মতো ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টেও হয়তো দর্শক হয়েই থাকতে হবে মুশফিককে।
এনইউ/এমএস