বাংলাদেশের জয়ের নায়ক খাদিজাতুল কুবরা
দু’দলের জার্সিতেই সবুজের আধিক্য। তবে ক্রিকেটে জয়-পরাজয় যখন আছে, তখন ম্যাচ শেষে যে কোনো একটা দলের ওপর একটু হলেও তো নীলের ছায়া পড়ে। কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগের দুই ম্যাচে সেই ছায়া পড়েছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের ওপর।
আজ (সোমবার) সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে উল্টো চিত্র। রুমানা আহমেদের দলের বিপক্ষে পরাজয়ের বেদনায় পুড়তে হলো পোট্রিয়া নারীদের। আসলে খাদিজাতুল কুবরার স্পিন বিষে নীল হতে হলো সফরকারীদের। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে বাংলাদেশকে দুর্দান্তভাবে সিরিজে ফিরিয়ে এনেছেন খাদিজাতুল কুবরা।
পোট্রিয়া নারীদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল মাত্র ১৩৭ রানের। প্রথম ম্যাচে ৩ উইকেটে ২৫১ আর দ্বিতীয় ম্যাচে ২২৩ রান করা দক্ষিণ আফ্রিকা নারী ক্রিকেট দলের জন্য এই লক্ষ্য এ তেমন কোনো বাঁধা হওয়ার কথা ছিল না! কিন্তু বোলাদেশের নারী বোলাররা জ্বলে ওঠলে যে কোনো বড় দলকে হারানোও দুর্বোধ্য কিছু নয়; তা আরও একবার প্রমাণ করেছেন কুবরা-জাহানারা-পান্নারা।
এই তিন বোলারের দিনে খাদিজাতুল কুবরা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেছিলেন একটু বেশিই। শুরুতে পান্না ঘোষ রানের খাতাই খুলতে দেননি আন্দ্রে স্টেইনকে। এরপর ফ্রেজকে কট অ্যান্ড বোল্ট করেন জাহানারা আলম। কিন্তু ৩৫ রানে ২ উইকেট পড়লেও এক প্রান্তে লিজেলি লি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেছিলেন। ঠিক তখনই দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম দুই ওয়ানডের জয়ের নায়ককে বোল্ড করেন কুবরা (লিজেলি লি প্রথম ম্যাচে ৮৭ এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ৭০ রান করেন)।
দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর তখন ৩ উইকেটে ৫৫ রান। এরপর পান্না-জাহানারার জোড়া আঘাতে ৬৪ রানে ৫ উইকেটে পরিণত হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৫ তম ওভারের প্রথম দুই বলে সুনি লুজ ও সিনালো জাফতাকে ফিরিয়ে সেই স্কোরটা ৬৭/৭- বানিয়ে দেন কুবরা।
বাংলাদেশের জয় তখন এক রকম সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এরপর খাকাকে নিয়ে ২০ রানের জুটি গড়েন দলীয় অধিনায়ক ফফ নিকার্ক। খাকা রান আউট হলে এই দুজনের অষ্টম উইকেটে তোলা ২০ রানের জুটি ভাঙে। ৯ রানের ব্যবধানে কিরট্রানকে বোল্ড করে নিজের চতুর্থ উইকেট তুলে নেন কুবরা।
৪২ রানে অপরাজিত পোট্রিয়া অধিনায়ক ফফ নিকার্ক অবশ্য এরপরও কিছুটা ভয় জাগিয়ে দিয়েছিলেন শেষ উইকেটে ৩০ রান যোগ করে। সেই জুটি ভেঙ্গে বাংলাদেশকে জয়ের আনন্দে মাতান সাবেক অধিনায়ক সালমা খাতুন।
১০ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ১টি মেডেনসহ ৪ উইকেট নেন কুবরা। যা তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। ম্যাচ সেরাও হন কুবরা। পান্না ঘোষ ও জাহানারা আলম পেয়েছেন ২টি করে উইকেট। ১ উইকেট পেয়েছেন সালমা খাতুন।
এনইউ/পিআর