স্বাভাবিক ব্যাটিং করার নির্দেশ ছিল সাকিবদের
তিন উইকেটে ৬৬ রান নিয়ে পঞ্চম দিনে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। ম্যাচ বাচাতে হলে কমপক্ষে দিনের অর্ধেকেরও বেশি সময় ব্যাটিং করতে হবে। তার উপর আগের দিন ইনজুরিতে পড়েছেন ইমরুল কায়েস। আর অধিনায়ক মুশফিকতো গত দুইদিন মাঠেই ছিলেন না। কিন্তু তার পরও দিনের অষ্টম বলেই দৃষ্টিকটুভাবেই আউট হলেন সাকিব আল হাসান। তবে সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের এ শটের পক্ষ নিয়ে তামিম ইকবাল জানালেন তাদের এমনভাবে খেলারই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাদের।
সোমবার ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভ স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন, ‘আমাদের পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে মোকাবেলা করা উচিৎ ছিল। আমরা এটা করতে পারিনি। আমি ভুল শট খেলে আউট হয়েছি। আর সাকিব আরও সময় নিয়ে ওই ধরণের শট খেলতে পারতো। তবে আমাদের বলা হয়েছিল যার যার নিজের স্টাইলেই ব্যাটিং করতে। সাকিব ওই ভাবেই খেলে। যদি চার হতো তাহলে কেউ কিছু বলতো না।’
প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৫৯৫ করে ইনিংস ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ। অথচ দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬০ রানেই শেষ তারা। এমন হারে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ পুরো দল, হতাশ তামিমও। নিজেদের ভুল শট খেলে আউট হওয়ার পাশাপাশি দুষলেন ভাগ্যকেও। তবে পরের ম্যাচে নিজেদের ভুল শুধরে ফিরে প্রত্যয় প্রকাশ করেন তামিম।
‘আমরা অনেক ভুল শট খেলেছি। তবে ভাগ্যও আমাদের বিপক্ষে ছিল। যদি ইমরুল কালকে ইনজুরিতে না পড়তো। তাহলে হয়তো আমি আর ইমরুল পঞ্চম দিনটা শুরু করতে পারতাম। কিংবা সাব্বির আর মুশফিক যদি আর এক থেকে দেড় ঘণ্টা ব্যাটিং করতে পারতো তাহলেও ভিন্ন ধরণের চিত্র দেখা যেত।’
প্রথম ইনিংসে ৫৯৫ রান করে এই প্রথম কোন দল হারলো। দলের এমন দারুণ অবস্থান থেকে হঠাৎই কেন চিত্র বদলে গেল? স্বাভাবিকভাবেই এমন প্রশ্নের মুখে পড়েন তামিম, ‘মুশফিকের ইনজুরি একটা টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। আমার ভুল শট খেলে আউট হওয়া একটা টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। আমাদের অনেক ভুলই আছে। আমরা এ ভুলগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করবো। এবং ঠিকঠাক করে পরের ম্যাচে মাঠে নামার চেষ্টা করবো।’
এমন হারের পরেও কিছু ইতিবাচক দিক খুঁজে পাচ্ছেন তামিম, ‘আমরা ভালো খেলেছি অনেক ইতিবাচক দিক রয়েছে। তবে দিনশেষে আমরা ম্যাচটা হেরেছি। আমরা খুবই হতাশ, ক্রিকেটার হিসেবে আমরা খুবই হতাশ। তবে কিছু ইতিবাচক দিক রয়েছে, রেকর্ড জুটি হয়েছে। একজন ডাবল সেঞ্চুরি করেছে, একজন ১৬০ করেছে। তবে দিন শেষে আমরা হেরেছি।’
আরটি/এমআর/এমএস