সাউদির বলে মাথায় আঘাত পেয়ে হাসপাতালে মুশফিক
ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুলে ব্যথা। দেড়দিন কিপিং না করে আর দুই দিন মাঠের বাইরে থাকার পর দলের প্রয়োজনে অবশেষে দায়িত্ববোধের চরম নিদর্শন হিসেবে মাঠে নামলেন মুশফিকুর রহীম। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ব্যথার জায়গা যতটা সম্ভব আড়ালে রেখে ব্যাট করতে চাইবেন। এ সত্য জেনে বুঝেই তাকে একের পর এক বাউন্সার ছোড়া শুরু কিউই বোলারদের।
সাউদি, বোল্ট আর নেইল ওয়েগানার তিন কিউই পেসার মুশফিক ক্রিজে আসার পর থেকেই খাট লেন্থে বল ফেলে মুশফিককে পিছনের পায়ে নেয়ার প্রাণপন চেষ্টা করলেন। একের পর এক বাউন্সারও ছোড়া হল। যাতে আঘাত পাওয়া জায়গাকে আড়াল করতে গিয়ে মুশফিক পিছনের পায়ে যান এবং উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরত আসেন।
এ লক্ষ্য নিয়েই মুশফিককে একের পর এক বাউন্সার ছুড়ে বিব্রত করার চেষ্টা। মুশফিকও যতটা সম্ভব সতর্ক ও সাবধানে সে বাউন্সারগুলোক পাশ কাটিয়ে, না হয় বসে ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করলেন; কিন্তু কতক্ষণ এভাবে পারা যায়? একবার তাকে বলের আঘাতে ব্যথা পেতেই হল।
টিম সাউদির রাউন্ড দ্য উইকেটে করা ১৩৫ কিলোমিটার গতির বাউন্সার বসে ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করলেন মুশফিক। তবে রাউন্ড দ্য উইকেটের সে বাউন্সার যে তার দিকেই আসতে পারে, তা হয়ত খেয়াল করেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। বলের থেকে চোখ সরিয়ে মুখ ও মাথা ঘুরিয়ে নিয়ে ফেললেন।
কৌনিক ডেলিভারি গিয়ে আঘাত হানল তার মাথার পিছনের অংশে। সঙ্গে সঙ্গে লুটিয়ে পড়লেন মাটিতে। বাংলাদশ এবং নিউজিল্যান্ড- দুই দলের ফিজিওসহ মাঠে ছুটে গেলেন দু ’দলের অনেকেই।
তাৎক্ষনিকভাবে দেখার পর ত্বরিৎ তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠানো হল হাসপাতালে। মাঠের পাশেই থাকা ওয়েলিংটন হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স কয়েক মিনিটের মধ্যে ঢুকে গেল মাঠে। ততক্ষণে মুশফিকের প্যাড, গøাভস, থাই প্যাড ও অ্যালবো গার্ড খুলে তাকে তুলে দেয়া হলো অ্যাম্বুলেন্সে।
বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টা ৩৮ মিনিটের (স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৩৮ মিনিট) দিকে মুশফিককে নিয়ে ওয়েলিংটন হাসপাতালের উদ্দেশ্যে মাঠ ছাড়ল অ্যাম্বুলেন্স।
মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম ও ম্যানেজার সাব্বির খান গেলেন তার সাথে।
এআরবি/আইএইচএস