বোলিংয়ে এসেই মাহমুদউল্লাহর জোড়া আঘাত
এক প্রান্তে রাব্বি, শুভাশিসরা নিউজিল্যান্ডকে চেপে ধরতে পারলেও আরেক প্রান্তে টম ল্যাথাম ঠিকই বাংলাদেশকে চেপে ধরছিল। ক্যারিয়ারের ৬ষ্ট সেঞ্চুরি করার পর সেটাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল ডাবল সেঞ্চুরির দিকে। একই সঙ্গে ফিকে হয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশের স্বপ্ন।
সেই টম ল্যাথামকে অবশেষে ফেরাতে সক্ষম হলেন সাকিব আল হাসান। দলীয় ৩৯৯ রানের মাতায় এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে নিউজিল্যান্ডের ভয়ঙ্কর এই ব্যাটসম্যানকে ফেরালেন বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
নিজে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন বলে ল্যাথামকে ফেরানোর দায়িত্বটাই যেন সাকিবের ওপর বেশি ছিল। সেই কাজটা অতি সুনিপুনভাবে করে দেখালেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে ফেললেন ল্যাথাম। আগে তার সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ১৩৭ রানের। আজ আউট হলেন ১৭৭ রানে। ৩২৯ বল খেলে ১৮টি বাউন্ডারি আর ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি।
ল্যাথাম ফিরে গেলেও বাংলাদেশের জন্য এরপর ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেন বিজে ওয়াটলিং আর মিচেল স্যান্টনার। এ দু’জনের ৭৩ রানের জুটি বাংলাদেশকে কিছুটা চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল। ৪৯ রান করে ফেলেছিলেন ওয়াটলিং। এ সময় হঠাৎ বোলিংয়ে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে আসেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বোলিং করতে এসেই চমক দেখালেন তিনি। ওভারের প্রথম বলেই ৪৯ রান করা ওয়াটলিংকে উইকেপের পেছনে ইমরুল কায়েসের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করলেন রিয়াদ। বেছারা ওয়াটলিং, ১ রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি মিস করলেন।
এরপর উইকেটে নামেন মিচেল স্যান্টনার। ওভারের ৫ম বলেই তাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অকেশনাল বোলার হিসেবে বোলিং করতে এসেই দারুণ ব্রেক থ্রু এনে দিলেন তিনি বাংলাদেশকে।
এ রিপোর্ট লেখার সময় নিউজিল্যান্ডের রান ৮ উইকেট হারিয়ে ৪৭৫। উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে রয়েছেন মিচেল স্যান্টনার এবং ২ রান নিয়ে ব্যাট করছেন নেইল ওয়েগনার। বাংলাদেশের চেয়ে এখনও পিছিয়ে তারা ১২০ রান।
এর আগে ৮৭ রানের অপরাজিত জুটি গড়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছিলেন টম ল্যাথাম ও হেনরি নিকোলস। চতুর্থ দিন তারা জুটিটাকে আরও শক্ত করতে থাকেন। তবে সাকিব আল হাসানের কাছে ভাঙে তাদের এই জুটি। নিকোলস আউট হন ৫৩ রান করে।
এরপর শুভাশীষ রায়ের প্রথম টেস্ট শিকার হন কলিন ডি গ্রান্ডহোম। নিউজিল্যান্ড হারায় তাদের পঞ্চম উইকেট। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। টানা চার ও ছয় মেরে শুভাশীষের বলে ইমরুল কায়েসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ১৪ রানে শেষ হয় তার ইনিংস।
আইএইচএস/