২০ মিনিট আগেও বোঝা যায়নি খেলা যথাসময়ে শুরু হবে!
নিউজিল্যান্ডের আবহাওয়া খুুবই অদ্ভুত! এই বেলা ভাল তো, ওই বেলা খারাপ। সকালে সোনালি রোদ। দুপুর গড়ানোর আগেই আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে যাওয়া। ঝিরঝিরে বৃষ্টি। শুক্রবার সারাদিন ভালো কাটার পর গতকাল সকাল থেকেই একটু আধটু মেঘের ঘনঘটা দেখা যাচ্ছিল। সঙ্গে পাগলা হাওয়া।
শনিবার পড়ন্ত বিকেলে খেলা শেষ হতেই বাড়ল বাতাসের তীব্রতা। সঙ্গে শুরু ইলশেগুড়ি বৃষ্টি। সময় গড়ানোর সাথে সাথে বৃষ্টির তোড় না বাড়লেও থামেনি এক মুহূর্তের জন্য। অবিরাম ঝরেছে। কখনো ঝিরঝিরে। কোন সময় ইলশেগুড়ি; কিন্তু বৃষ্টি থামেনি। পড়েছেই।
অবিরাম বর্ষণ দেখে বার বার মনে হচ্ছিল আবহাওয়ার পূর্বাভাষের কথা। ওয়েলিংটনে যতগুলো আবাহাওয়ার পূর্বাভাষ আছে, তার সবকটায় রোববার সাপ্তাহিক ছুটির দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টানা বৃষ্টির কথা বলা হয়েছিল। আগের রাতে টানা বর্ষণ দেখে বারবার মনে হচ্ছিল চতুর্থ দিনের প্রথম সেশন বুঝি বৃষ্টিতে ভেসে যাবে।
কিন্তু ভোরের দিকে সদয় হলো প্রকৃতি। শনিবার রাত গড়িয়ে একটানা বৃষ্টি গিয়ে থামল ভোর তিনটার দিকে। ভারি না হলেও টানা বর্ষণে রাস্তা-ঘাট, গাছ-পালা সবই ভিজে একাকার। এমনিতেই পথ-ঘাট এমনকি গাছ-পালা সব পরিষ্কার। আগের রাতের একটানা বৃষ্টিতে সব কিছু আরও ঝকঝকে তকতকে লাগছিল। রাস্তা ভেজাই ছিল।
এর মধ্যে নিশ্চিত সকাল সাড়ে দশটায় খেলা শুরু হবে না। সবচেয়ে মজার ঘটনা হলো, টিম বাংলাদেশও পুরোপুুরি প্রস্তুত ছিল না। খেলা দেরিতে শুরু হবে বলে দল বেসিন রিজার্ভে এসে পৌঁছেছেই সকাল ১০টার পর।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু লাঞ্চের সময় জানালেন, দল মাঠে আসার পরও বোঝা যায়নি সকাল ১১টার আগে খেলা শুরু হবে। মিনহাজুল আবেদিন আরও মজার এক ঘটনা জানালেন, খেলা দেরিতে শুরু হবে ভেবে সকালে সোয়া দশটায় ড্রেসিং রুমের ডাইনিংয়ে প্লেট ভর্তি নাস্তার পশরা সাজিয়ে বসেছিলেন বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ।
ভোজন রসিক ওয়ালশ ধীরে ধীরে সকালের খাবার খাচ্ছিলেন। খাওয়া তিন ভাগের এক ভাগ শেষ না হতেই শুনলেন খেলা শুরু হয়ে যাচ্ছে বলে। কি আর করা? পড়ি কি মরি করে কোনরকমে নাস্তা সেরে পেসারদের কাছে ছুটে যাওয়া। সব সংশয় দুর করে খেলা শুরু হলো ঠিক সকালে পূর্ব নির্ধারিত সময়ে (ওয়েলিংটন সময় সকাল সাড়ে দশটা, আর বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে তিনটা)।
খেলা নির্ধারিত সময়ে শুরু হওয়াই শুধু নয়। সময় গড়ানোর সাথে সাথে আকাশও পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। নীল আকাশ আর রোদ ঝলমলে দিন না হলেও ওয়েলিংটনের আবহাওয়া মোটামুটি ভাল হয়ে গেছে।
অবাহওয়ার পূর্বাভাষ জানাচ্ছিল, ‘দুপুরের আগে বৃষ্টি বন্ধ হয়ে যাবে। বাকি সময় মোটামুটি ভালই কাটবে। তবে বাতাস বইবে জোরে।’ শেষ অবধি আকাশ ভাল হতে শুরু করল দুপুরের আগেই। বৃষ্টি নেই। তবে বাতাস আছে। আকাশে মেঘের ঘনঘটাও কম।
দেখা যাক, মেঘ ও বৃষ্টিমুক্ত দিনে টাইগার বোলিং এবং ফিল্ডিংটাও আরও উজ্জ্বল ধারালো হয় কি না?
এআরবি/আইএইচএস