মুশফিকের হাতের ইনজুুরি নিয়ে ধুম্রজাল!
ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুলে ফ্র্যাকচার নেই। তবে ব্যাথা আর ফোলা দুই’ই আছে। ব্যাথা-ফোলা না কমা পর্যন্ত হয়ত মুশফিক কিপিং করতে পারবেন না। প্রয়োজন পড়লে ব্যাটিংয়ে নামবেন- আগের দিন আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছিলেন মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম।
তার কথার সূত্র ধরে অনুমান করা যাচ্ছিল, আজ চতুর্থ দিনও গ্লাভস হাতে উইকেটের পিছনে দেখা যাবে না বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ককে। তার জায়গায় হয়ত এদিনও কিপিং করবেন ইমরুল কায়েস। হয়েছেও তাই। মুশফিক ড্রেসিং রুমে। আর তার জায়গায় কিপিংয়ে ইমরুল।
এগুলো নতুন খবর নয়, আসল কথা হলো- অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমের হাতের ইনজুরি নিয়ে তৈরি হয়েছে ধুম্রজাল। তার ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুলে নাকি সমস্যা আছে। পরিষ্কার ফ্র্যাকচার ধরা না পড়লেও তার রিপোর্টে নাকি একটা চিড়ের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেছে। ডাক্তারি ভাষায় যাকে বলা হয় ‘হেয়ারলাইন ফ্র্যাকচার।’
আজ সকালে জাগো নিউেিজর পক্ষ থেকে বিসিবির মিডিয়া ম্যানেজারের কাছে প্রশ্ন- কাল বলা হল কোনরকম ফ্র্যাকচার হয়নি; কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে হেয়ারলাইন ফ্র্যাকচার- কোনটা সত্য। আর হেয়ারলাইন ফ্র্যাকচার হলে সমস্যা আসলে কি হয়? মুশফিক কি এ টেস্টে আর কিপিং করতে পারবে না? ব্যাট হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে নামতে দেখা যাবে তাকে? দ্বিতীয় টেস্টও খেলা সম্ভব?
বিসিবি মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমামের জবাব, ‘হ্যাঁ একটা হেয়ার লাইন ফ্র্যাকচার ধরা পড়েছে। তবে সেটা গত পরশু যে ইনজুরি হয়েছে, সেখান থেকেই হয়েছে- এমনটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’
রাবিদ বোঝানোর চেষ্টা করলেন, অনেক কিপারেরই হেয়ারলাইন ফ্র্যাকচার থাকে। আঙ্গুলে সমস্যা থাকে। তা নিয়েই তারা বছরের পর বছর খেলে যান। যেহেতু উইকেট কিপিং গ্লাভসে বড় ধরনের প্রটেকশন থাকে, তাই কিপিংয়ের সময় ওই ছোট-খাট চিড় থাকলেও তাতে সমস্যা হয় না।’
রাবিদ আরও জানালেন, মুশফিকেরও তেমন কোনো পুরনো হেয়ারলাইন ফ্র্যাকচার থেকে থাকতে পাওে হয়তো। আমরা যা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। তাই বলা যাচ্ছে না, এই হেয়ারলাইন ফ্র্যাকচারটা গত পরশু ব্যাটিংয়ের সময়ই হয়েছে।’
তবে রাবিদের কথায় পরিষ্কার, মুশফিকের হাতের ব্যাথা ও ফোলা কমেনি। এখনো আছে। যদি এই অবস্থা থাকে, তাহলে তাকে এই ম্যাচে আর কিপিং করতে দেখা যাবে না। আর খুব প্রয়োজন না পড়লে হয়ত ব্যাটিংয়েও নামবেন না।
তবে কি মুশফিক পরের টেস্টেও অনিশ্চিত? এ প্রশ্নের সদুত্তর নেই রাবিদ ইমামের কাছে। তার শরীরি অভিব্যক্তি দেখে মনে হচ্ছে, সেটাও অনিশ্চিত। তবে মুখে বলেছেন, এখন তাকে যতটা সম্ভব বিশ্রামে রাখা হচ্ছে প্রধান কাজ। আজ ১৫ জানুয়ারি। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু ২০ জানুয়ারি। তার মানে আরও ৫ দিন পুরো বাকি।
এমন হেয়ারলাইন ফ্র্যাকচার নাকি ৫ থেকে ৭ দিন পূর্ণ বিশ্রামে থাকলে, মানে ব্যাথা পাওয়া জায়গায় কোনরকম চাপ না পড়লে ভাল হয়ে যায়। দেখা যাক, এ ম্যাচে আর কীপিং ও ব্যাটিংয়ের দরকার না পড়লে হয়ত মুশফিক ঠিক হয়ে যেতে পারেন।
এআরবি/আইএইচএস/